
ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমনি ও অভিনেতা শরিফুল রাজ ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন। বছর না গড়তেই তাদের সংসার আলো করে আসে পুত্রসন্তান শাহীম মুহাম্মদ পুণ্য।
সন্তান জন্মলাভের পরপরই বিয়েবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এ দম্পতি। সংসার ভাঙনের পর সন্তানকে নিজের কাছেই রেখে দেন অভিনেত্রী। ছেলের সব দেখভালের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নেন তিনি।
বিচ্ছেদের পরেই পরীমনি জানিয়েছিলেন, সন্তানের প্রতি বাবা হিসেবে কোনো দায়িত্বই পালন করেননি শরিফুল। সবটা তাকেই সামলাতে হয়েছে। বিশেষ দিনেও পুণ্যের পাশে দেখা মেলেনি বাবা রাজের।
এসবের মাঝেই সম্প্রতি এক ভিডিওতে বাবা শরিফুল রাজের সঙ্গে দেখা যায় পুণ্যকে। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসে খুনসুটিতে মেতে উঠেন বাবা-ছেলে। সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন অভিনেতা।
সেই ভিডিও প্রকাশের মাসখানেক পর আবার পরীমনির নিশানায় শরিফুল রাজ। এবার সাবেককে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন তিনি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালেই এ অভিনেতাকে উদ্দেশ্য করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্বামীকে উদ্দেশ্য করে পরীমনি লিখেছেন—রাত জাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখ শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না। আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতো।
অভিনেত্রী বলেন, তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না, জাস্ট ট্রাস্ট মি! রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধু, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না?
তিনি বলেন, কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না।
পরীমনি বলেন, একবার ভাব তো— দিনের শুরু থেকে শেষ অবধি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জানোয়ার। ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে...। পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নেই। অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা।
তিনি বলেন, ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমাকে বুঝ দেওয়ার মতো তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর।
পরীমনি বলেন, আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো বেঁচেই যেতে। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি? কিছু ঘেন্না খোলাই হয়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর