
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আমি বলছি যে কোনও চাপ নেই আমাদের এবং চাপের কাছে আমরা নত স্বীকার করব না। যে কোন চাপ ইনফ্লুয়েন্স বা কোন নির্দেশনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করবে না রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
জুনের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে ঐক্যমত্য হয়, তাহলে জুনের মধ্যে এই ভোট করার বিষয়ে আপনারা বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত মনে করবেন কিনা এটাকে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা হলো ঐক্যমত্যের প্রশ্ন। এক্ষেত্রে তো প্রত্যেকটা আইন সংস্কারের বিষয়েও হয়ত ওনারা ঐকমত্য হবেন। পরে আমাদের যে প্রস্তুতিটা, সে প্রস্তুতির জন্য সময় লাগবে। এখন ধরেন, যদি আমি কালকেই ঐক্যমত্যের রেজাল্টটা পেয়ে যাই, তাহলে এক ধরনের টাইম আমি পাচ্ছি। আর যদি এটা বিলম্বিত হয় তাহলে আবার একটু কমে আসবে। তো সব কিছু মিলে আমরা আশা করি যে আমরা একটা যৌক্তিক সময়ের ভিতরেই তফশিল ঘোষণা করতে পারব।
তফশিল ঘোষণার ক্ষেত্রে ভোট করার ক্ষেত্রে কোন চাপ অনুভব করছেন কিনা?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বলছি যে কোনও চাপ নেই আমাদের এবং চাপের কাছে আমরা নতি স্বীকার করব না। গতকাল আমাদের সিইসি সাহেবের স্টেটমেন্ট আপনারা দেখেছেন। যে কোন চাপ ইনফ্লুয়েন্স কোন নির্দেশনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করবে না।
আগেও আমরা বলেছিলাম, আমাদের একটাই কথা, যদি স্বাধীনভাবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে। নির্বাচন করতে না পারি তাহলে হয়ত কী বলে যে? এটা না করার কোনও সুযোগ নেই? করতেই হবে।
এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন,সেটা সময়ই আমাদেরকে বলবে। সময়ই বলে দিবে যে।
ডিসেম্বরের মধ্যে আপনারা নির্বাচন করতে চান, সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন। আপনার প্রস্তুতিটা তিন মাসের মধ্যে শেষ করে রাখতে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে বিশাল কর্মযজ্ঞ। সংস্কার কমিশনের জন্য কি আপনারা অপেক্ষা করছেন? নাকি আপনারা নিজেদের কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?
Speaker2: [00:02:15] আমরা সবগুলো পয়েন্টেই এগুচ্ছি।
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন,একটি জায়গায় রয়েছে এটি। আগেও আমি বলেছি যে বর্তমান যে আইনটি রয়েছে এটি আমাদের যতটুকু মনে করে একটা সাব সেকশন। এ আইনের যে ক্লারিক্যাল মিস্টেক সেটাতে একের জায়গায় দুই হয়ে গেছে। কারেকশন হইলে পরে আপনার ওপেন হবে যা আমরা ডিলিমিটেশন এর ক্ষেত্রে বলেছি যে পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন এগুলো করার সুযোগ আসবে।
Speaker4: [00:03:20] যায়। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন যে আইন আছে এটা অনেকে বলছে বাতিল করার জন্য। অনেকে বলছে বহাল রাখার জন্য। এটা নিয়ে আপনার কোন কাজ করছেন কিনা?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,নিবন্ধন আইন তো একটা থাকতে হবে। আগে ছিল সেটার হয়তোবা সংযোজন বিয়োজন কিছু থাকতে পারে।
একটা নতুন দলের জন্য এক তৃতীয়াংশ জেলা এবং হচ্ছে। একশটি উপজেলা এবং পাঁচশো ভোটারের যে সমর্থন থাকতে হয় এটা উনারা সবাই বলছেন যে এটা খুব কঠিন। আসলে এটা নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য আসলে এই আইনটা পালন করা কঠিন। আপনারা কি তাদের এই দাবির সঙ্গে আসলে সংগতিপূর্ণ?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এটা যদিও ঐক্যমত্যে যদি আসে, এই সিদ্ধান্তটা।
রাজনৈতিক দলগুলো দলের নিবন্ধন আইন একটু সহজ করা প্রয়োজন বলে মনে করে এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আমরা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। কারণ এখন যেহেতু একটা আইন আছে, সবাই বলতেছে এখন ঐকমত্যের প্রশ্নে কেউ বলবে যে আরও কঠিন করে। কেউ বলবে যে আরও সহজ করে। কেউ বলবেন যে আইনটা উঠাইয়া দেন। বলার স্বাধীনতা সবার আছে। এখন পর্যন্ত যেটা আছে এর বাইরে আমরা কোন মন্তব্য করে আবার রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই।
যে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনটা করতে চান সেই সময় বলতে কতদিন মিন করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে আমরা তো আরও আগেই বলছি যে, ডিসেম্বর যদি আমরা টার্গেট করি তাহলে অক্টোবরের আগেই আমাদের জুলাই আগস্টের দিকে আমাদের ফুল প্রিপারেশন থাকতো।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় মহানগরী গুলোতে আসন সংখ্যা কমানোর কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে-তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো জনসাধারণ যে দরখাস্ত গুলো করেছেন সে গুলো একটা প্রসেসে আমাকে নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই প্রসেসে নিষ্পত্তি করতে গেলে যে আমার আইন, বাস্তবতা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখে এটাতে হাত দিতে হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর