
পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা রিপন উদ্দিনকে জোরপূর্বক অপসারণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী উদ্যোক্তা রিপন।
অভিযুক্তরা হলেন, পুরাতন ধানবিলা গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন, দয়রামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম, খৈরাশ গ্রামের সারোয়ার হোসেন ও ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শামসুল আরেফিন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে রিপন উদ্দিন ১৬ বছর ধরে ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে আসছেন। তাঁর উদ্যোক্তা আইডি নম্বর ৭৬-২২-২৫-০১-০১। সোমবার সকালে অভিযুক্তরা ডিজিটাল উদ্যোক্তা সেন্টারে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারপিটের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে টেনে হিঁচড়ে উদ্যোক্তা রিপনকে বের করে দিয়ে তালা দিয়ে দেন।
এরপর থেকে ডিজিটাল উদ্যোক্তা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তরা তাদের মধ্য থেকে ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলমকে ডিজিটাল তথ্য কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত জানায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহাবুবুল আলম বলেন, ‘একটা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের দায়িত্ব পালনের জন্য ৫ বছর মেয়াদি চুক্তিপত্র হয়। আগে রিপন ছিলেন। গত বছরের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে চাটমোহরের ইউএনও স্যার আমাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য চুক্তিপত্র করে দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান শামীম হোসাইনও আমাকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।
আমি দায়িত্ব বুঝে না পেয়ে আবারও ইউএনও স্যারকে বলার পর তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে নির্দেশ দেন আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। আজকে সচিব ইউএনও’র আদেশ পালন করেছেন। এখানে আমরা কেউ রিপনকে জোর করে বের করে দেওয়ার বা হুমকি দেইনি।’
ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘মাহাবুবুলের সাথে বিগত ইউএন রেদুয়ানুল হালিম স্যারের ৫ বছরের চুক্তিপত্র হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় রিপনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়াড় জন্য বলেছি। কিন্তু সে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়নি। সর্বশেষ গত সোম কি মঙ্গলবার বর্তমান ইউএনও স্যার আমাকে চুক্তিপত্রের আলোকে মাহাবুবুলকে উদ্যোক্তা সেন্টারের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলেন। আমি সে অনুযায়ী আজকে তাকে আবারও দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলি। পরে রিপন আর আমি দু’জন দুই তালা লাগিয়ে দিয়েছি। যাতে কেউ বসতে না পারে। কাল মঙ্গলবার ইউএনও স্যার পরিষদ ভিজিটে আসবেন। তখন সমাধান হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু আগের ইউএনও সাহেব একটি চুক্তিপত্র করেছেন, সেটাতো আমি ভুল বলতে পারি না। আমি চুক্তিপত্র দেখেছি, সবকিছু ঠিক আছে বলেই মনে হয়েছে। তাই আমি সচিবকে বলেছিলাম, আইনের মধ্যে যেটা হয় সে অনুযায়ী কাজ করতে। তারপরও যেহেতু অভিযোগ এসেছে, আমি আগামীকাল পরিষদ ভিজিটে যাবো। গিয়ে বিষয়টির সমাধান করবো। আমার কথা আমি আইনের বা নিয়মের বাইরে কিছু করবো না। আইনগতভাবে যিনি প্রাপ্য তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর