
রৌমারীতে ধর্ষণ মামলার আসামি ধরতে গিয়ে রৌমারী থানার এক পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই)কে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়েছে আসামি।
এ ঘটনার ১৭ ঘন্টা পার হলেও এখনও পলাতক আসামী ধরতে পারে নাই রৌমারী থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধনারচর চরের গ্রামে। পরে সহকর্মীরা আহত এসআই আউয়াল হোসেনকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তারা।
জানা যায়, পলাতক আসামি শাহনেওয়াজ আবির রাজু কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফ্রেবুয়ারি একই গ্রামের সিদ্দিকের মেয়ে প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে রাজু। ঘটনার পর গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত রাজু ও তার পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে ধনারচর চরের গ্রামে তার খালা শিরিনা আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেয় অভিযুক্ত পরিবারটি। পরে ধর্ষিতার মা সাবিনা বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রাজুকে আটক করে এবং হাতকড়া পড়ায়।
এ সময় পুলিশ উপ পরিদর্শক (এসআই) আউয়াল হোসেনের সাথে আসামীর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে আসামী পালিয়ে যায়। পরে রৌমারী, রাজিবপুর ও ঢুষমারা থানার অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।
এসময় রাজুর মা এবং খালাতো বোন (শিরিনার মেয়ে)সহ পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে রাজুর মা আবেদা আক্তার রাজিয়া (৪৮) এবং খালাতো বোন রুনা আক্তারকে (২৩) আটক করে থানায় আনা হয়। এ সময় ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেন বলেন, সোমবার রাতে পুলিশের অভিযান হয়েছে। এ সময় পুলিশকে আঘাত করে আসামি রাজু হাতকড়াসহ পালিয়েছে।
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) নবিউল ইসলাম বলেন, একজন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা গুরতর নয়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, ওই এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালানো হয়েছে। হাতকড়াটি ভুট্টাক্ষেত থেকে পাওয়া গেছে এবং দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর