কক্সবাজারের পেকুয়ায় জিম্মিদশা থেকে তিন যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন খাসিয়াইস ইউপির নয়াহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে উদ্ধার এবং গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতার মো. ইলিয়াছ পটিয়া উপজেলার খাসিয়াইস ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাকখাইন এলাকার মো. আলীর পুত্র।

উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুধামাঝিরঘোনা এলাকার মৃত আবু তাহেরে ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান, একই এলাকার রহিম উদ্দিন ছেলে মো. রাইমন এবং রামু উপজেলার রশিদনগদর ইউপির বড় ধলিরছড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মনজুর আলম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেকুয়া থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে আবদুল্লাহ আল নোমানকে অপহরণ করা হয়। তাকে খুঁজে না পেয়ে তার ভাই মো. রফিক নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে নোমানের মোবাইল থেকে তার ভাইয়ের মোবাইলে কল দিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

পেকুয়া থানা পুলিশ নোমানকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযানে নামেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে নোমানের লোকেশন শনাক্ত করে পটিয়া উপজেলার খাসিয়াইস ইউপির নয়াহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পুলিশ নোমানসহ আরও দুজনকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে মো. রফিক বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়া থেকে একজন নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। নিখোঁজের ভাইয়ের মোবাইলে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এলে বিষয়টি অপহরণ হিসেবে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি করে। অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী মো. ইলিয়াছকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও তার অপর সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আসামি ইলিয়াছ একজন পেশাদার অপহরণকারী দলের সক্রিয় সদস্য। সে এবং তার অন্যান্য সহযোগী অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন লোককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ও আদায় করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, ইলিয়াছকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের লক্ষ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হচ্ছে।

সালাউদ্দিন/সাএ