আম সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শীতকালে অসময়ে গাছে ঝুলছে পরিপক্ব আম। একই গাছের অন্য ডালগুলোতে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে।

এমন বিরল ঘটনাটি ঘটেছে বাগাতিপাড়া উপজেলার লোকমানপুর এলাকার মালিগাছা গ্রামের সাবেক সেনাসদস্য (সার্জেন্ট) আমিরুল ইসলামের বাড়ির আঙিনায় লাগানো আমগাছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিনের ছেলে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আশ্বিনা জাতের আমের এমন ঘটনা।

আমিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে এলাকায় তিনি দেড় একর জমিতে ৭ প্রকার জাতের আমের গাছ রোপণ করেছিলেন। এর মধ্যে বাড়ির আঙিনায় রোপণ করা কয়েকটির মধ্যে একটি গাছে বছরে তিনবার আম আসে, কিন্তু কেন আসে তিনি জানেন না। তিনি আশ্বিনা জাত হিসেবে পার্শ্ববর্তী বাঘার রুস্তমপুর এলাকা থেকে এই আমের চারাগাছ সংগ্রহ করেছিলেন। একইসঙ্গে অনেক গাছ নেওয়া হলেও শুধু একটি গাছে তিনবার আম আসে। এক আম পরিপক্ব হতে থাকলে আবার মুকুল আসতে থাকে। এই আমের স্বাদও বেশ মিষ্টি। এর আগে এই আম তিনি কৃষি মেলাতেও প্রদর্শন করেছেন।

তিনি আরও জানান, গাছ রোপণের প্রথম চার বছর একবার করে আম আসত। এরপর থেকে দুইবার করে এবং কয়েক বছর থেকে তিনবার করে আম আসা শুরু হয়। প্রায় ১৫ বছর বয়সি এই আমগাছটি দেখতে অনেক মানুষ আসেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বিডি২৪লাইভকে বলেন, বাংলাদেশে কাটিমন বা বারি-১১ জাতের আম বছরে তিনবার আসে। তবে আশ্বিনা জাতের আমের এমন ঘটনা নেই। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব, বলে জানান তিনি।

সালাউদ্দিন/সাএ