
দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কায়েম তথা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পুনঃনির্মাণের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হলো দেশের দুই রাজনৈতিক দল। জাতীয় ইতিহাসের মহান ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তাঁর অনুসারী হয়ে "ভাসানী অনুসারী পরিষদ" এবং "বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি" এই দুটি দল একিভূত হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এবং বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিগত কিছু দিনের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দু'টি দল আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে একমত হন। উপস্থিত সকল নেতাদের সামনে দুই দলের প্রধান নেতা বলেন, "আমাদের জাতীয় ইতিহাসের মহান ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তার সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নীতি, শোষণমুক্ত ও মর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং থেকে আমরা দু'টি দল একিভূত হয়ে ভাসানী অনুসারী পরিষদের ব্যানারে যৌথভাবে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবো। আজ থেকেই বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। এখন থেকে আমাদের উভয় দলের জেলা/উপজেলা সহ সকল কমিটি একসাথে এক ব্যানারে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অনুরূপভাবে সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এই নিয়ম মেনে চলবে।"
বিগত দিনগুলিতে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে ছোট দলগুলো বড় দলের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করলেও তারা উপযুক্ত মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই উপলব্ধি থেকে আমরা মনে করি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত না হয়ে একটি বড় প্ল্যাটফর্মে দলভুক্ত হয়ে আমরা একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবো। এছাড়াও সমমনা আরো ছোট দলগুলোকে আমাদের ব্যানারে একিভূত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আমরা মনে করি, ঔপনিবেশিক ধ্যানধারণা ও রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করা প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী জাতি রাষ্ট্র গঠন ও উন্নতর গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সৎ, যোগ্য, সুনাগরিকের প্রয়োজন। সে লক্ষ্য পূরণে মওলানা ভাসানীর শিক্ষা-দর্শনের বিকল্প নেই, তাই তার শিক্ষা-দর্শনের আলোকে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। খুব শীঘ্রই আমরা কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের বর্তমান নাম পরিবর্তন করে সবার গ্রহণযোগ্য একটি নতুন নাম ঠিক করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবো এবং কাউন্সিল অধিবেশনের পর আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে দলের নাম উপস্থাপন করব।
দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। মজলুম জননেতা ভাসানীর চেতনায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমাদের নবযাত্রা শুভ হোক।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর