
প্রত্যাশার ওএমএস ডিলারের লাইসেন্স বাগাতে না পেরে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে সংক্ষুব্ধ পক্ষের বিরুদ্ধে। গত ১৫ বছরের সুবিধাভোগী একটি পক্ষ সদর ইউএনও কে দোসর ট্যাগ লাগিয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারে আজগুবি গল্প সাজাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও নিলুফার ইয়াছমিন চৌধুরীর।
ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, সদর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে সরকারি নির্দেশনার আলোকে ১১ জন ওএমএস ডিলার নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এতে নতুন পুরাতন রেকর্ড ৫৭ জন ডিলারশিপ পেতে আবেদন করেন। আবেদন বেশী হওয়ায় ৬ সদস্যের নিয়োগ কমিটি লটারির মাধ্যমে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ১১ জন ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেন। চৌফলদন্ডীর আগের ওএমএস ডিলার প্রিয়ার মায়ের নাম লটারিতে না উঠায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে দোসর ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। অথচ আমি ৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে ভোর ৬ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। শুধু তাই নয়- সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে মব বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছি।
এদিকে সদর ইউএনও'র বিরুদ্ধে একটি চক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলে চক্রটির বিরুদ্ধে ইউএনও'র ভালো কাজের পক্ষে অবস্থান নেয় অসংখ্য মানুষ।
কক্সবাজার জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির আলী তার ফেস স্ট্যাটাসে লিখেন, নিজের স্বার্থ হাসিল না হলেই যে দোসর এই ট্রেডিশন থেকে আমরা বেরিয়ে আসি,ওনার কাজের মূল্যায়ন করুন। যাকে তাকে দোসর বানানোর একটা ট্রেডিশন চালু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে দেশের সবখানে। ওনি সদরে যোগদান করার পর হতে প্রত্যেকটা কাজের প্রতি ওনার আন্তরিকতার ঘাটতি কখনো পরিলক্ষিত হয়নি। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক হিসেবে ওনার অবস্থান থেকে জবাবদিহিতার জায়গা রেখে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিশেষ করে পরিবেশ রক্ষায় (পাহাড় কাটা, টপ সয়েল উত্তোলন, নদী হতে অবৈধ বালি উত্তোলন, বাজার মনিটরিং সহ)যে কোন প্রয়োজনে ওনাকে পাশে পেয়েছে সবসময়। সদরের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক আন্দোলনে তার সমাধান দেখেছি নিজে উপস্থিত থেকে। সত্যি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। স্বার্থ হাসিল না হলেই তাকে দোসর বানানোর অপচেষ্টা করা হতে বিরত থাকুন। ওনার কাজকে মূল্যায়ন করুন দেশ ও জাতির স্বার্থে।
আজাদ নামের এক সংবাদকর্মী লিখেছেন, স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হলেও রাজাকার, স্বৈরাচার, দোসর এই তিনটি শব্দের ট্যাগ দেওয়ার প্রবণতা বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে সম্প্রতি। আমার সাংবাদিকতা জীবনে এই ইউএনও বেশ কয়েকটি পরিবেশ ধ্বংসকারী চক্রকে আইনের আওতায় আনতে দেখেছি। দেখেছি তার কাজের প্রতি দায়িত্ব ও আন্তরিকতা।
সাংবাদিক ওমর ফারুক হিরু লিখেন, এখন স্বার্থ হাসিল না হলেই যে কাউকে হুটহাট দোসর বানানো হচ্ছে। আবার অনেকে ফেসবুকে লাইক-কমেন্টের জন্য কারো মানক্ষুন্ন করতে ২ মিনিট চিন্তা করছেনা। আমার দেখা সৎ-যোগ্য এবং পরিশ্রমী একজন ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী। কারো কাজের গতিতে নিরুৎসাহিত না করে দেশ ও জাতির কল্যাণে সঠিক পরামর্শ দিন।
উল্লেখ্য, পট পরিবর্তনের পর সারা দেশে ওএমএস ডিলার বাতিল করে নতুন করে ডিলার নিয়োগ করা হচ্ছে সারা দেশে। ৫৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১১ জনকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করার পর বঞ্চিতরা সদর ইউএনওর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো বিষোদ্গার চড়াচ্ছে যা অসত্য বলে দাবি করেন সদর ইউএনও নিলুফার ইয়াছমিন চৌধুরী।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর