
সোমবার (৩ মার্চ) বোর্ড সভায় বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধির। ১৮ তম বোর্ড মিটিংয়ের সবচেয়ে বড় দিক ছিল সেটাই। নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কোন কোন ক্রিকেটার জায়গা পাচ্ছেন তাও অনেকটাই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তাছাড়া চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বৃদ্ধিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
এতকিছুর মাঝেও যে নামটা আলাদাভাবে উচ্চারিত হচ্ছে সেটা সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকা সাকিব বেশ কিছুদিন ধরেই নেই লাল-সবুজের জার্সিটার সঙ্গে। কিন্তু গেল বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ঠিকই ছিলেন তিনি। আর সেই চুক্তির সাপেক্ষে বিসিবি থেকে এখনো ৪৮ লাখ (ট্যাক্স বহির্ভূত) পাওনা তার।
আগস্টের পর রাজনৈতিক হালচাল বদলের পর ‘সংসদ সদস্য সাকিব’ দেশের মাটিতে ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন। যে কারণে খেলতে পারেননি দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। অথচ সেই সিরিজ দিয়েই বিদায় নিতে চেয়েছিলেন সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে। এতকিছুর মাঝে বিসিবি থেকে তার পাওনা বেতনেও এসেছে বকেয়া। বিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকার কারণে গেল বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি সাকিব। যে কারণে ট্যাক্স বাদ দিয়ে গেল বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে তার পাওনা টাকার পরিমাণ গিয়েছে ৪৮ লাখ পর্যন্ত।
সাকিব আল হাসানের বেতনের ইস্যুতে বোর্ডের পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম ক্রিকবাজকে জানান, ‘সে (সাকিব) চুক্তি অনুযায়ী তার বেতনের টাকা পেয়ে যাবে। কারণ আপনি খেলুন বা নাইই খেলুন চুক্তি করা আছে। আর আমরা অবশ্যই চুক্তি অনুযায়ী আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাব।’
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারণার মামলার তার বিরুদ্ধে আছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এরইমাঝে সাকিবের ওপর আছে বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা। মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের জন্য সবমিলিয়ে সময়টা একেবারেই কঠিন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর