
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম চলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হাফেজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে। কয়েকদিনের মধ্যেই ক্যাম্পাসের সবার মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এ প্রোগ্রাম।
শিক্ষার্থীদের বিপুল সাড়ায় আয়োজকেরা আশা ব্যক্ত করছেন ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে কুরআন শিক্ষার এ প্রোগ্রাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আয়োজিত এই কার্যক্রমটি প্রতিদিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে চলে ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হাফেজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। সবার মাঝে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দেওয়ায় মূল লক্ষ্য এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী, যারা আগে কুরআন পড়তে পারতেন না বা ভুলে গিয়েছেন তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুরআন শেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
হাফেজ কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক ভুঁইয়া বলেন, অনেক শিক্ষার্থী ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত কুরআন শেখার সুযোগ পান না। তাদের জন্যই আমাদের এই আয়োজন, যাতে কেউ দ্বিনি জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত না হন। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কল্যাণমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করব।
হাফেজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কাজি আরিফ বলেন, আমাদের সমাজে ইসলামের মূল শিক্ষা ও অনুশীলনের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসলামের সুমহান আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা শুধু কুরআন তেলাওয়াত শিখুক তা-ই নয়, বরং ইসলামের আলোকে জীবন পরিচালনার পথও খুঁজে পাক।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেক বিন আতিক বলেন, রামাদান হচ্ছে কুরআন নাজিলের মাস, এ মাসে হাফেজ কল্যাণ পরিষদের এ উদ্যোগ কে আমি সাধুবাদ জানাই। হাদিসে এসেছে সেই ব্যক্তি সর্ব উত্তম যে কুরআন নিজে শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়। তারা যদি এমন কাজ সারা বছর করতে পারে তাহলে কুরআনের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে ছাত্রদের জীবন আরো সুন্দর হবে।
এছাড়া আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে মোরালিটি অব কুরআন শিক্ষা দেয়াড় ব্যবস্থা করা উচিত। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভিতর থাকা হতাশা, ডিপ্রেশন সহ বিভিন্ন ধরনের মানুষিক সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব। প্রসঙ্গত আত্মহত্যার পরিমাণ বাড়ছে কুরআনের জীবন দর্শন শিক্ষার ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, তারা আমার অনুমতি নিয়েই এই কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমিও সবার মত এ কাজের প্রশংসা করছি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর