
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অটোচালক লিটন মিয়ার (৩৫) হত্যার অভিযোগে প্রায় চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা ও সহকর্মী অটোচালকরা।
নিহত লিটন মিয়া নেত্রকোনা জেলার মদন থানার শিবভাষা এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
অটোচালকদের অভিযোগ, গতকাল সোমবার বিকেলে শ্রীপুরের মাষ্টারবাড়ি এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে লিটনের অটোরিকশার ধাক্কা লাগে, এতে অটোরিকশার একটি কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাসচালক ও লিটনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকওয়া পরিবহনের চালক ও তার সহযোগীরা লিটনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নতুন বাজার এলাকায় মহাসড়কের উপর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই লিটনের মৃত্যু হয়।
অটোচালকদের দাবি, লিটনকে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ চালকরা আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিচারের দাবি জানান। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দু’পাশে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এবং সেনাবাহিনীর আশ্বাসে বেলা ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেন অটোচালকরা। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী খান জানান, লিটনকে হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে এমন গুজবে অটোচালক ও স্থানীয় লোকজন নতুন বাজার এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এবং সেনাবাহিনীর আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে সরে যায়।
তিনি আরো জানান, লিটনের হাত-পায়ের বা গলায় দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে রগ কাটার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ায় শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকওয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর