
শেরপুরে পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গুণগত মানহীন পণ্য বিক্রি, মজুদ করে কৃত্রিম সংকটসহ ভোক্তাদের হয়রানি রোধে বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকিতে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে শহরের গৌরিপুর এলাকা, সদর উপজেলার হাতিআলগা এলাকার দু’টি মুড়ি কারখানা এবং সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারের নিত্যপণ্যের পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা দোকান, কাঁচাবাজার ও ফলের দোকানগুলোতে পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২ মুড়ি কারখানার মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা বাজার মনিটরিং টিমের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন মনিটরিং টিমের সদস্য ক্যাব শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মনিবুল ইসলাম।
বাজার মনিটরিং টিমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা পুলিশের একটি দল এবং কালেক্টরেট জিএম শাখার সাপোর্ট স্টাফরা। মনিটরিং কালে উৎপাদিত পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ এবং বিক্রয়মূল্য লেখা না থাকার অভিযোগে শহরের গৌরিপুর এলাকার আকবরিয়া অটো মুড়ি ও চিড়াকল পরিচালক ইমরান হোসেনকে ৫ হাজার টাকা, সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের হাতি আলগা এলাকার নাহিদ অটো মুড়ি ও চিড়াকল মালিক মনিরুজ্জামানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাজার মনিটরিং কালে টিমের সদস্যরা বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানে পণ্যের দাম, মান, মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও পণ্যের সরবরাহ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
এ সময় বাজার দর, ব্যাবসায়িক লাইসেন্স, বিক্রয় মূল্য তালিকা, ক্রয় রসিদ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণ যাতে কোনোভাবে প্রতারণার সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইসাথে ফলমূল এবং সয়াবিন তেল, লেবু, শসা, কাঁচা মা রিচ, বেগুনের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অবলোকন করে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সহ যৌক্তিক লাভ বিবেচনায় সহনীয় মূল্যে দ্রব্যমূল্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর