
হাসিনা পতনের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর চিকিৎসাপত্র, রোগী ভর্তির টিকিটসহ দাপ্তরিক বিভিন্ন কাগজে মুজিব শতবর্ষের লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজো এই 'মুজিবপ্রীতি' থেকে বের হতে না পারায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) হাসপাতালটির স্বাক্ষরিত মুজিব শতবর্ষের লোগো সংবলিত আউটডোর চিকিৎসাপত্রের একটি কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কিশোরগঞ্জজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে সরেজমিনে হাসপাতালের আউটডোরে গিয়েও শত শত রোগীর হাতে মুজিব শতবর্ষের লোগো সম্বলিত ব্যবস্থাপত্র দেখা যায়।
এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর টিকিটেও এ লোগো দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয় আন্দোলনকারী ছাত্রদের মধ্যেও।
অভিযোগ রয়েছে, ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও পুরনো সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণেই চলছে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতাল।
কিশোরগঞ্জের এই প্রতিষ্ঠানটিতে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে এখনও প্রভাব ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের দোসররা। যে কারণে শেখ মুজিবের লোগো ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার সময় শেষ (২০২২ সালের ৩১ মার্চ) ও শেখ হাসিনা সরকার পতনের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও লোগোর ব্যবহার বন্ধ করেনি হাসপাতালটি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, 'স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও এখনো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের লোকজন রয়ে গেছে। সৈয়দ নজরুল মেডিকেল এর মধ্যে অন্যতম। এই হাসপাতালে এখনো মুজিব বর্ষ পালন করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে সৈয়দ নজরুল মেডিকেল হাসপাতালসহ যত প্রতিষ্ঠানে মুজিববাদের লোগো রয়েছে তা পরিবর্তন করতে হবে।'
এ বিষয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হেলিশ রঞ্জন সরকার বলেন, 'এই লোগো সম্বলিত কাগজপত্র বাতিলের বিষয়ে আমরা উপর থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি। উপরের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তো আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তাই এগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। বাতিল করলে নতুন করে কাগজপত্র ছাপাতে হবে। এখন যেহেতু সমালোচনা হচ্ছে কী আর করব, বস্তা ভরে রেখে দিতে হবে।' বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর