
সোনাগাজীর ১নং চরমজলিশ পুর ইউনিয়নে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা ঘটনার বিষয়টি অনেক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করে।প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সরজমিনে তদন্ত করলে উক্ত হামলার পিছনে জনক্ষোভের অন্তরায় বেরিয়ে আসে।
সামছুল হুদা রিপন জানান, ফিরোজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদ পাওয়ার পর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সাধারণ মানুষকে মারদোর সন্ত্রাস চাঁদাবাজি, ইভটেজিংসহ হেন কোন কাজ নাই তারা করে নাই। হুদা মিয়া আরো জানান তার ভাই প্রবাসী কামরুলের নির্মাণাধীন ঘরকে তারা টর্চার সেলে পরিনত করেছিলো, এখানে নিরীহ ছেলেদের এনে মারধর করে পরিবার থেকে চাঁদা আদায় করতো।ভয়ে আমরা কিছুই বলতে পারতামনা। ছাত্র লীগের পদ পাওয়ার পর থেকে তার অত্যাচারে ভিন্নমতের কোন লোক এলাকায় প্রবেশ করতে পারেনি।
স্থানীয় আবু তাহেরের ছেলে মুক্তার হোসেন জানান, ২০১৮ সালে নির্বাচনে তার সাথে থেকে ভোট কেন্দ্র দখল করার জন্য আমাকে প্রস্তাব করে, আমি কেন্দ্র দখলে না গেলে আমাকে রাঘব পুর ইস্কুল মাঠে নিয়ে অনেক মারধর করে। পরে মিথ্যা মামলায় পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে, এই ঘটনায় আমি ১৭দিন ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে এসে, ব্যবসার উদ্দেশ্য কুঠির হাঁট মাদ্রাসার সামনে এসএস থাই এ্যালমিনিয়ামের দোকান দিয়। সে দোকান থেকে পর্য়ায়ক্রমে আরো দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা নেয়।
মাহমুদুল হকের ছেলে সায়েদুল হক জানান, আমি ছাত্র দলের কর্মী ছিলাম শুধু এই অপরাধে সে আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দিতোনা। দলীয় একটি প্রোগ্রামে যাওয়ার খবর পেলে সে আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে মারধর করে এবং আমার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়,আমার ফেইসবুক আই ডি থেকে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান পোস্ট করে। মোঃ ইব্রাহিম পিতা ইসমাইল জানান, ২০১৮ সালে ছাত্রদল করার কারনে আমার বাড়িতে বোমা হামলা করে।
স্থানীয় প্রবীন ব্যক্তি, রফিক মিয়া বলেন, ফিরোজ এ এলাকার মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করেছে। গত জুলাই আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে ফিরোজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়, গত ২৭/০২/ ২০২৫ ইং তারিখে রাঘবপুর তার নানার বাড়িতে আসলে ক্ষুব্ধ জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। পূর্বে যারা আক্রান্ত হয়েছে ঐদিন তারাই তাকে আক্রমন করেছে। কতিপয় কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তার মা নিরপরাধ কিছু মানুষের নাম বলছে, প্রকৃত পক্ষে তারা সেদিন ঘটনার স্থলে ছিলোনা। আবুল হোসন লিটনের নাম বলা হয়েছে, সে ফেনীতে থাকে ঘটনার স্থলে সে আগে পরে ছিলোনা, ষড়যন্ত্র করে তার নাম বলা হয়েছে।
ফিরোজের মামা আমেরিকা প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন খান স্বীয় ভাগিনার অপকর্মের কথা স্বীকার করে বলেন, দেশে অনেকে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ করেছে, যারা অন্যায় করে নাই, তাদের উপরতো হামলা হচ্ছেনা।নিশ্চয় সে মানুষের সাথে অন্যায় করেছে, নাহলে শুধু শুধু তার উপর হামলা করবে কেন? আমি ও তো আওয়ামী লীগ করি, কই আমাকে তো কেউ কিছু বলছেনা।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফেজ বসর জানান, ফিরোজের উপর হামলা খবর জেনেছি, প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হোক আমি চাই। উল্লেখ্য গত ২৭/০২/২০২৫ ইং তারিখে ফিরোজ নানার বাড়িতে আসলে এলাকার কিছু দুর্ববৃত্ত তার উপর হামলা করে গুরতর আহত করে, বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা এখনো আশংকাজনক। ফিরোজের পিতার বাড়ি দাগন ভুঁইয়া। চরমজলিশ পুর ইউনিয়ন, রাঘবপুর গ্রামে মায়ের হকিয়ৎ সূত্রে পাওয়া জায়গায় একটি ঘর নির্মাণ করলেও ফিরোজ তার মাকে নিয়ে ফেনী ভাড়া বাসায় থাকে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর