
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক জুয়েল জেলা শহরের মার্কাজ মসজিদ সংলগ্ন একটি বহুতল ভবনে অবস্থান করছেন এমন সংবাদে তাকে খুঁজতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন যুবদলের দুইগ্রুপের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে পৌর শহরের মার্কাজ মসজিদ সংলগ্ন (জেলা কারাগারের পেছনে) আওয়ামী লীগ নেতার নিজস্ব বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক জুয়েল বাজার করে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এলাকাবাসী বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাড়িটি ঘেরাও করে এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, তিনি ভেতরেই ছিলেন। পরে যুবদলের এক গ্রুপের কিছু নেতাকর্মীরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে আরকটি গ্রুপ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে দুইগ্রুপের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। পরে উপস্থিত জনতা পরিস্থিতি শান্ত করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ভেতরে কী করছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা।
সভার ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি খবর পেয়েছি আমার ওয়ার্ডে রমেশ চন্দ্র সেনের পিএ জুয়েলকে নাকি আটকে রাখছে। আমি বাড়ির ভেতরে ঢুকতে চাইলে তারা আমাকে ঢুকতে দেয়নি। বাড়ির ভেতরে ২ ঘণ্টা থাকার পর বলছে এখন নাকি আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল নেই। অথচ যুবদলের নেতাকর্মীরাই প্রথমে বলল ভেতরে জুয়েল আছে। আমি ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেওয়ার পরও আমাকে ভেতর ঢুকতে দেয়নি তারা। আমার মতে যারা বাড়ির ভেতর ঢুকছে তারাই জুয়েলকে অন্যখানে সরিয়ে রাখছে।”
যুবদলের আরেক নেতা বলেন, “বাড়ির ভেতরে আওয়ামী লীগ নেতা আছে সন্দহে এলাকাবাসী বহুতল ভবনটি ঘেরাও করে রাখেন। কেউ যাতে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ভেতর থেকে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জুয়েলকে রক্ষা করার জন্য নানাভাবে দেনদরবারও চলে।”
সদর থানা পুলিশের উপপরির্দক (এসআই) বজলুর রহমান বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি একটি বাড়িতে আওয়ামী লীগের এক নেতা রয়েছে। আমরা আসছি, তল্লাশি করছি। এখনও পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।”
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর