
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মাতৃত্বকালীন ভাতা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে হতদরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ৩ নং বাগাতিপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যন ফাইমা খাতুনের ছেলে মশিউর রহমান মিশুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের কোয়ালীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মানিক প্রামনিক মশিউর রহমান মিশুর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই অভিযোগ এবং ভুক্তভোগী মানিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানিক একজন অর্ধশিক্ষিত ভ্যান চালক। তাকে একদিন তার এক নিকটাত্বীয় একই এলাকার জহুরুল ইসলাম নামে একজন বলে তোর বউএর মাতৃত্বকালীন ভাতা করতে হলে টাকা লাগবে। অনেকেই সিরিয়ালে আছে যে টাকা দিবে তারটা হবে। তুই যদি টাকা দিতে পারিস তাহলে চেয়ারম্যানের ছেলে ভাতার কার্ড করে দিবে। তখন ভাতা পাবার আশায় মানিক তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে কিস্তি তুলে ১২ হাজার টাকা ওই জহুরুলের বাড়িতে কয়েক জনের সামনে চেয়াম্যানের ছেলের হাতে তুলে দেয়। কিছুদিন পরে জানতে পারে ভাতা করতে টাকা লাগেনা। এমনি এমনিই হয়। তখন চেয়ারম্যানের ছেলের থেকে টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানা টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে চাইলেও পরে আর দেয়না। পরে মানিক নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করে।
টাকা নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় আজিত আলী, স্বপনসহ আরো অনেকে জানান, মানিকের টাকা নেয়ার বিষয়টি এলাকার সবাই জানে। চেয়ারম্যানের ছেলে টাকা ফেরতও দিতে চেয়েছিল তবে এখন আর দিচ্ছেনা। তারা আরো বলেন, শুধু মানিক না এরকম আরো অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে সে টাকা চেয়েছিল। তবে তারা সচেতন হওয়ায় তাকে টাকা দেননি। এসকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে চেয়ারম্যন ফাইমা খাতুনের ছেলে মশিউর রহমান মিশু বলেন, এটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, অভিযোগ পেয়ে তা তদন্তের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলে তা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট পরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ছুটি নেয়ায় ফাইমা খাতুনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর