
চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যুবদলের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন আরাফাত মামুন (৪৮) ও বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ইউনিয়নের গরিবউল্লাহ পাড়ার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দুজনই উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার আরাফাত মামুন এলাকায় নিজেকে যুবদলের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচয় দেন। গোলাম আকবর খোন্দকারের ছবি দিয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়কে তোরণ নির্মাণ ও পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণাও চালিয়ে আসছেন তিনি। তবে যুবদলে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।
বিপ্লব বড়ুয়াও যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি আরাফাত মামুনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আরাফাত মামুনের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, দলের প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি-হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে।
এর আগে তাঁকে ধরতে যৌথ বাহিনী একাধিকবার অভিযানও পরিচালনা করেছে। গত ২৪ জানুয়ারি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষপাড়ায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে শুঁটকি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ মামলায় মামুন ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নিয়ে আমাদের আরও অভিযান চলমান আছে।
গত ২৪ জানুয়ারি রাউজান নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষপাড়ায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে মাকসুদ আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিন জনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর