
ঢাকার কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়াঝাঁটির এক পর্যায়ে গৃহবধূকে রাস্তায় বেঁধে রেখে নির্যাতন করার ঘটনায় থানায় অভিযোগের পরও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ।
এতে করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার ব্যবস্থা না হলে আইনের প্রতি দিনে দিনে মানুষের শ্রদ্ধা কমে যাবে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, গত রবিবার (২ মার্চ) প্রথম রমজানের দিন ইফতারের আগ মুহূর্তে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন চরকালিগঞ্জ বরইতলা এলাকার মামুন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া বৃষ্টি বেগমের সাথে তুচ্ছ ঘটনায় দুই প্রতিবেশী নারীর সাথে ঝগড়া হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন নামে এক বিএনপি নেতা ঝগড়া থামাতে এসে উল্টো বৃষ্টি বেগমের সাথে বাকবিতন্তায় লিপ্ত হয়।
পরবর্তীতে দেলোয়ার হোসেনের তিন মেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বৃষ্টি বেগমকে মারধর করে এবং তার মেয়ের জামাই স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা সনি চুলের মুঠি ধরে রাস্তা দিয়ে টেনে হেঁচড়ে তাকে একটি ক্লাবের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে গায়ে ওড়না দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করে এবং জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বৃষ্টি বেগম মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি এমনকি ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে কোন যোগাযোগ করেনি, এমনটাই অভিযোগ করেছেন বৃষ্টি বেগম।
স্থানীয় মুদি দোকানদার ইসমাইল শেখ জানান, মধ্যযুগীয় কায়দায় রাস্তা দিয়ে চুলের মুঠি ধরে মেয়েটিকে টেনে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে, তারা এলাকার প্রভাবশালী লোক তাই ভয়ে কেউ কোন কিছু বলতে পারেনি। আমি নিজে ওই স্থানীয একজন ভাড়াটিয়া তাই চেয়ে চেয়ে দেখেছি কিছু বলতে পারিনি।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে জনগণের মনের মধ্যে থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা কমে যাবে। এলাকাবাসী হিসেবে আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
এ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত দেলোয়ারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই হারুন মিয়া জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি।
প্রাথমিকভাবে নারীকে নির্যাতনের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওসি সাহেবের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর