
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসার এ্যাডহক কমিটিতে পতিত স্বৈরাচারের এক দোসরকে গোপনে টাকার বিনিময়ে মাদরাসা এ্যাডহক কমিটির সভাপতি করতে মরিয়া হয়ে ওঠার অভিযোগ উঠেছে ঐ মাদরাসার সুপার নুরনবীর বিরুদ্ধে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ্যাডহক কমিটি গঠন করতে সভাপতি পদে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারী নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসায় সভাপতি পদে ৫ জন আবেদন করলেও ১ জনের দরখাস্ত গ্রহণ করা হয়নি।
আবেদন কারীরা হলেন, ব্যবসায়ী শাহিনুর হোসাইন, মাইনুল খান, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক ও ব্যাংকার ওমর ফারুক। এর মধ্যে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম হিরনের দরখাস্ত গ্রহণ করা হয়নি বলে অপর প্রার্থীরা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
আরো জানা যায়, ৪ জনের দরখাস্ত গ্রহণ করা হলেও একজনকে গোপনে সভাপতি করতে মরিয়া হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুপারের বিরুদ্ধে।একই সাথে সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দূর্ণীতিরও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নুর হোসেন নামে একজনকে মাদরাসায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন সুপার নুরনবী। মাদারাসার পরিত্যাক্ত ভবন কম দামে নিজের পছন্দের ঠিকাদারের নিকট ২লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিক্রির করে ১লক্ষ৫০ হাজার টাকা মাদরাসা ফান্ডে জমা দিয়ে বাকী ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ উঠেছে।
বিধি অনুযায়ী সভাপতি পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করে তাদের সাথে বৈঠক করে রেজিস্ট্রার মেইনটেইনের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৩ জনের নাম বোডে পাঠানো।
কিন্তু প্রার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন মারাসার সুপার কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের পছন্দের প্রার্থী স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের দোসর সাবেক এমপি জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী একই ইউনিয়নের শাহাপুরের বাসিন্দা ব্যাংকার ওমর ফারুককে গোপনে নাম প্রস্তাব করে বোর্ডে নাম পাঠানো হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে মাদরাসার অভিভাবক মহলে ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাদরাসা সুপার নুরনবীকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন,কে স্বৈরাচারের দোসর তা আমি জেনে কি করবো? ওমর ফারুকের জন্য উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, সদস্য সচিব সৈয়দ আলম ভুঁইয়া, ইমাম কমিশনার, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলু মেম্বার আমাকে কল দিয়ে ব্যাংকার ওমর ফারুককে সভাপতি মনোনীত করতে জোর সুপারিশ করেছে।
সুতরাং বাকীদের থেকে সে এগিয়ে বিধায় তাকে সভাপতি করতে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সুপারিশকৃত বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি জানেননা বলে জানিয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ বিষয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও সভাপতি প্রার্থী ফারুক জানান, মূলত সোনাগাজি সমিতি নিয়ে বিবাদের সূত্র ধরে একটি পক্ষ আমাকে স্বৈরাচার দোষর বলচে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা প্রিন্সিপালের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসানের নজরে আনলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর