
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শৈলধুকরি বালু মহলে ইজাদারের ক্ষমতার প্রভাব ও লোভের ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজপ্রাপ্ত ঠিকাদার মাসুদুজ্জামান মাসুদ বাহিনী ও উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের জনগণের মধ্য যেকোন সময় সংঘর্ষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসি।
স্থানীয়রা জানান, ঈদগাঁ মাঠ সংস্কারের জন্য সরকারি ভাবে ৩ লাখ ঘনফুট বালু বরাদ্ধ দেয়াকে মেনে নিতে পারেননি ঠিকাদার মাসুদ। যে কারনেই তিনি মাঠ কমিটিকে তাদের বরাদ্ধ প্রাপ্ত বালু দিতে নারাজ।
আর এ জন্যই ইজারাদার মাসুদ বিভিন্ন ভাবে মাঠ কমিটি সহ সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটলের নামে কুৎসা রটাচ্ছেন। টিকাদার মাসুদের মূল উদ্দেশ্যেই ছিল নাম মাত্র বালি ইজারা নিয়ে বাংগালী নদীর দুপাশের সমস্ত বালু নিজে গ্রাস করা। কিন্তু গ্রাম বাসির চেস্টায় কিছু বালি মাঠের নামে বরাদ্দ আসার তিনি তা মেনে নিতে পারছেন না।
এমনকি তার পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসি আরিফুল ইসলাম সাগর এর যোগ সাজসে এবং স্থানীয় কিছু আওয়ামীপন্থি লোকবল নিয়ে সরকারি বালুলুটের পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনার সাথে যোগ দেয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমজাদ মহুরী ও সাধারণ সম্পাদক খাজা মিয়া।
বুধবার (৫ মার্চ) সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক “বাঙালি-করোতোয়া-ফুলজোড় -হুরাসাগর নদীসিস্টেম পুনঃখনন ও সংশোধিত প্রকল্পের” আওতায় ড্রেজিংকৃত উত্তলিত মাটি বালু সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, বাংগালী নদীর শৈলধুকরী এলাকায় প্রায় ৫০ লক্ষ ঘনফুট বালু স্তুপীকৃত করে রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে এই বিপুল পরিমান বালির মধ্য থেকে স্তুপের দক্ষিণ পাশে মাসুদের নামে ৮ লক্ষ ঘনফুট ও উত্তর পাশে নগর ঈদগাঁ মাঠ ভারাট ও সংস্কারের জন্য ৩ লক্ষ ঘনফুট বালি সরবরাহের অনুমোদন দেয়া হয়। অবশিষ্ট রয়ে যায় প্রায় ৪০ লক্ষ ঘনফুট বালি। যা ছিল মাসুদের মূল টার্গেট ওই বালু টুকু গ্রাস করতেই মরিয়া হয়ে উঠে ঠিকাদার মাসুদ ও বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তার এক আত্মীয়।
এই কৌটি টাকার বালি আত্মসাৎ করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গ্রামবাসি। এই বালু লুটপাটের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করছে সেই সব গ্রামবাসীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শীকার হতে হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিন্ডকেটের সাথে জড়িত থেকে ঠিকাদার মাসুদ ও তার আত্মীয়রা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ।
এলাকাবাসীর দাবী,অবশিষ্ট বালির নিলাম দিয়ে মাসুদ নামক এই দানবের হাত থেকে রক্ষা করা হোক সরকারি সম্পদ।বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক এই বালু চক্রকে।
এ বিষয়ে মাসুজ্জামান মাসুদ জানান, পৃথক দুটি নিলামে ডেকে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজপ্রাপ্ত বালু পেয়েছিলাম। অথচ বিএনপি প্রভাব খাটিয়ে বরং তারাই আমার পয়েন্টে থেকে বালু লুটে নিয়ে গেছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর