নাটোরের বড়াইগ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এতে নারীসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। 

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার (৫ মার্চ) বিকালে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চামটা মৎস্যজীবী পাড়া গ্রামে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সেলিম হোসেন (৩২), রেহেনা বেগম (৪০), অফলা বেগম (২৫), শরী খাতুন (৬৫), নাসির হোসেন (২৭), সবের আলী (৩৫), বীরেন প্রামানিক (৬০), জহুরা বেগম (৫৫), ফজলু প্রামানিক (৩৫), নাসিমা বেগম (২৫), সোনা খাতুন (৫৫), শুক চাঁদ মিয়া (৪০), মতিন খাঁ (৩০), রফিকুল ইসলাম (২০), শাকিল হোসেন (২৬), নার্গিস বেগম (৩০) এবং রাইদুল হোসেন (১৭)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে চামটা মৎস্যজীবী পাড়া গ্রামের লাল চাঁদ মিয়ার মেয়ে আছিয়া খাতুন (৬) ও নদী খাতুন (১২) নদীতে মাছ ধরাকে নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান। পরে আছিয়া খাতুনের মা নাসিমা বেগম নদী খাতুনকে বকাবকি করেন। 

কিন্তু নদী বাড়ি গিয়ে বলেন যে, তাকে মারধর করা হয়েছে। বুধবার বিকালে নাসিমা বেগম বাজারে যাওয়ার সময় নদী খাতুনের বাবা মতিন খাঁ ও তার লোকজন নাসিমাকে মারধর করেন। তাকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে, এতে নারীসহ ১৭ জন আহত হন।

বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুনতাসির/সাএ