
লালমনিরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে রোহান ও সিজান নামের দুই যুবক গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় চাজনকে আটক করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে, সন্ধ্যা ও রাতে শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সিজান (২০), রোহান (২২), দুলালি, জাহানারা, আব্দুল হামিদসহ অন্তত আটজন আহত হয়। এদের মধ্যে ওই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সিজান (২০) ও একই এলাকার ফরহাদ মিয়ার ছেলে রোহান (২২) গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আটককৃতরা হলেন ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (২৩), সৈকত (১৮), শাহিনুর ইসলাম (২৬) ও সজিব (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে জুম্মার নামাজের সময় হাসা-হাসিকে কেন্দ্র করে দুপুরে শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সজিব গংদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় একই এলাকার অটোচালক আব্দুস সালামের ছেলে জিসানের সাথে। সেসময় সিজানকে মারধর করে সজিবরা। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে মারধরের শিকার হন আব্দুস সালাম। এসময় একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় শফিকুল গংরা। পরে আহত সিজান ও তার পরিবারকে দেখতে সিজানের বন্ধুরা সন্ধ্যায় সিজানের বাসায় আসলে শফিকুল ইসলামসহ তার ছেলে ও সহযোগীরা পুনরায় হামলা করে আব্দুস সালামদের উপর। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
পরে দুপুরে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে রোহান ও সিজানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠে শফিকুলগংদের বিরুদ্ধে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা শফিকুলের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ শফিকুল ও তার পরিবারে অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানুষজন। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুরনবী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ, ডিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
লালমনিরহাট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ-সার্কেল) এ.কে.এম ফজলুল হক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে দু'জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে শুনেছি। সংঘর্ষের পরপর স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে শফিকুলে বাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের পরিবার অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর