
বরগুনায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বোনের জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির। শুক্রবার (৭ মার্চ) প্যারোলে মুক্তি পেয়ে দুপুর সোয়া ১টায় বড় বোনের জানাজায় সার্কিট হাউস মাঠে অংশ নিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাহাঙ্গীর কবিরের বড় বোন আনোয়ারা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে ৭৮ বছর বয়সে পৌরসভার আমতলার পাড় এলাকায় নিজ বাসভবনে মারা যান। বোনের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েন তিনি। শেষবারের মতো বোনের মুখ দেখতে এবং জানাজা ও দাফনে অংশ নেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বরগুনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম ২ ঘণ্টার জন্য বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তি দেন। এরপর তাকে পুলিশ পাহারায় বরগুনার সার্কিট হাউজ এলাকায় নেওয়া হলে তিনি বোনের জানাজা অংশগ্রহণ করেন। পরে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির তার বোনের জানাজায় অংশ নিতে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে প্যারোলে মুক্তি পান। জানাজা শেষে পুলিশ পাহারায় তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে, গত বছরের ১২ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিন মিনিটের ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবিরকে বলেন, ‘আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন।’ এ সময় জাহাঙ্গীর কবির শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘আপা আপনি ঘাবড়াবেন না (মনোবল হারাবেন না)। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।’
এরপর ১৪ আগস্ট ভোর ৬টার দিকে তার বাসভবন আমতলার পাড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহবুব আলম চাঁদাবাজি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠান। পরে তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করে। সেই মামলায় তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর