
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এত টাকা কোথা থেকে আসে, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে শিবিরের টাকার উৎস সম্পর্কে জানিয়েছেন জবি শিবির সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম। পরে পাল্টা প্রশ্ন করে ছাত্রদলের টাকার উৎসও জানতে চেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৭ মার্চ) এসব কথা বলেন জবি শিবির সেক্রেটারি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পোস্ট দিতেও দেখা যায়।
তিনি বলেছেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়।
জবি শিবির সেক্রেটারি আরও বলেন, আমাদের কোনো ব্যক্তিগত আয় নেই, কোনো ব্যক্তিগত ব্যয় নেই। আমাদের যা আয় যা ব্যয় সব সংগঠনের জন্য নিবেদিত। যারা আমাদের নিয়ে প্রশ্ন করেন তাদের অনুরোধ করবো বুকে হাত রেখে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলেন, আপনার দলের টাকা কোথা থেকে আসে?
মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমাদের আয়ের উৎসগুলো আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্ট করে বলা আছে। অর্থ-ব্যবস্থা/বায়তুলমাল : ধারা-৩৬ : সংগঠনের প্রত্যেক স্তরে বায়তুলমাল থাকবে। কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, সংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা এবং শরিয়ত অনুমোদিত অন্যান্য খাতসমূহ থেকে প্রাপ্ত অর্থই হবে বায়তুলমালের আয়ের উৎস।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা তাদের টিউশন করা জমানো টাকা ছাত্রকল্যাণ ফান্ডে দান করে। আমাদের মায়েরা তাদের গলার হার আমাদের বিশ্বাস করে দিয়ে দেয়। আমাদের বোনেরা রান্নার মুষ্টি চাল জমা করে আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের ভাইয়েরা তাদের বেতনের কষ্ট করা টাকা কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমাদের দিয়ে দেয়। আমাদের সব সাবেক ভাইয়েরা আমাদের টাকা দেয়,বিপদের দিনে আশ্রয় দেয়।
এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে বলতে শুনেছি তারা প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে তিন লাখ টাকা ব্যয় করছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তারা এত টাকা কীভাবে উপার্জন করছেন। তাদের আয়ের উৎস কী? একটি সাধারণ ছাত্র সংগঠন মাসে ৯০ লাখ টাকা কোথায় পাচ্ছে, এই তথ্য আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে শিবিরের কাছে জানতে চাই।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর