
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার লারমা স্কয়ার বাজারে দেড় বছরের ব্যবধানে তৃতীয়বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত ভোররাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭মে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে শতাধিক দোকান পুড়ে যায়। পরে ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুরো বাজার ধ্বংস হয়, নিঃস্ব হয়ে পড়ে দেড় শতাধিক পরিবার।
দীঘিনালা উপজেলার বাস স্টেশন সংলগ্ন লারমা স্কয়ার বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, দীঘিনালা জোনের সেনাসদস্যরা, পুলিশ ও স্থানীয়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এরই মধ্যে অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, ফলে আরও বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান, কুলিং কর্নার, ফার্মেসি ও টেলিকমের দোকান। প্রাথমিক হিসাবে, অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তরা এ ধরনের বিপর্যয় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদার ও বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া বলেন, অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওমর ফারুক, পিএসসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ। তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর