
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নানীর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী (১০) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত প্রায় ২৫ দিন আগে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের একটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটলেও গ্রাম্য সালিশে অর্থদণ্ডের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার (৮ মার্চ) ভুক্তভোগীর মা মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাত ৭ টা পর্যন্ত এঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
শিশুটির মা বলেন, ঘটনার দিন তার মেয়ে নিকটস্থ নানীর বাড়ি বড়ই পারতে গিয়েছিলো। তখন ওই গ্রামের ফিরোজ মিয়া শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে একটি টয়লেটের ভেতর ধর্ষণ করে। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করায় তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে তার সাথে হওয়া ঘটনার বর্ণনা দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মালেক, বাবুল ও ফাজুসহ কয়েকজন মাতাব্বর বিষয়টি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মিমাংসার উদ্যোগ নেয়।
স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছিলেন না। মাতাব্বররা শাস্তি হিসেবে ধর্ষককে ১০ বার জুতার আঘাত ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে। বিচার শেষে নগদ ৯২ হাজার টাকা ও একমাস পরে বাকি ৫৮ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিশুটির মা কোনো টাকা বুঝে পাননি।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, খবর পাওয়া মাত্রই শুক্রবার রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয় ধর্ষককে ধরতে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষক ফিরোজকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর