
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে উঠেছে আগাম জাতের গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ। হাঁকডাক দিয়ে চলছে বেচা-কেনা। এসব দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ দেখা গেলেও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৫৫০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৮৭০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে। বিগত দিনগুলোর থেকে এবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই কৃষকরাও ব্যবসায়ীদের কাছে ন্যায্য দাম পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাঠ জুড়ে যে-সব তরমুজ রয়েছে তাতেও কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন।
শনিবার সরেজমিন চরফ্যাসন সদর রোডে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা সারি সারি করে তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। ৩শ থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত দামের তরমুজ রয়েছে ব্যবসায়ীদের কাছে। ক্রেতারা কেউ কেউ দাঁড়িয়ে দেখছেন। কেউ আবার তরমুজ দামা-দামি করছেন।
তরমুজ কিনতে আসা মেহেদী বলেন, বাজারে আগাম তরমুজ উঠলেও দাম অনেক বেশি। যে তরমুজ ১শ থেকে ২শ টাকায় কেনা যেত, সে তরমুজের দাম ৫শ থেকে ৭শ টাকা। রোজায় তরমুজ খাওয়ার ইচ্ছে হলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই তরমুজ কিনতে পারছে না।
অটোরিকশা চালক মজিদ মুন্সি বলেন, চোখের সামনে আগাম জাতের নতুন তরমুজ দেখে ছেলে-মেয়েদের জন্য কিনতে ইচ্ছা হলেও দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারছি না। যখন দাম কমবে, তখন কিনব। ছোট একটি তরমুজ কিনতে চাইলেও ২শ থেকে ৩শ টাকা লাগবে। সারাদিনে যা আয় হয়, তা দিয়ে চাল-ডাল কিনব, নাকি তরমুজ কিনে খাব?
তরমুজ কিনতে আসা মো. হালিম বলেন, মেয়ে বায়না ধরায় বাজারে তরমুজ কিনতে এসেছি। বাজারে এসে দেখছি যে-সব তরমুজ রয়েছে, তা অপরিপক্ব এবং দাম বেশি। লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা খেত থেকে অপরিপক্ব তরমুজ বাজারে নিয়ে আসছে। দাম চড়া থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
এদিকে রমজানে রসালো ফল তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রেতারা। প্রশাসন যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে তাহলে তরমুজসহ বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তরমুজ বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে এখন যে-সব তরমুজ উঠেছে সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ। সে কারণে দাম একটু বেশি। তারপর আবার রমজান মাস চলছে। তাই তরমুজের চাহিদাও বেড়ে গেছে। রোজার পর হয়ত তরমুজের এতো দাম থাকবে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমাদুল হোসেন বলেন, খুব দ্রুতই তরমুজ বাজার মনিটরিং করা হবে। কেনো ব্যবসায়ী যদি অতিরিক্ত মূল্যে তরমুজ বিক্রি করে তাহলে ওই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর