
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রাহকদের সুবিধা নিয়ে কাজ করছে।
ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের মূল্য কমানো, ডাটার কোন মেয়াদ না রাখা, ভালো নেটওয়ার্কের সুবিধাসহ যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা খাতে সংস্কার কমিশন গঠন করার বিষয় নিয়ে “প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুতগতির মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আজ ৯ মার্চ ২০২৫ইং রোজ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের (দ্বিতীয় তলায়) তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি'র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান, টেলি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মাহতাব উদ্দিন, আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম, বিডি জবস এর সিইও ও সাবেক বেসিক সভাপতি ফাহিম মাশরুর, আইএসপিএবি র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) হেলাল উদ্দিন, বেসিস এর অ্যাসোসিয়েট কমিটির সভাপতি রাফেল কবির, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসির, গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র ডাইরেক্টর কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত, ইকোনমিক রেগুলেশনের ডিরেক্টর শাহ মো. ফজলে খুদা, এছাড়াও বাংলালিংক, সামিট কমিউনিকেশন, ফাইবার হোম, ইডটকো টাওয়ার, কীর্তনখোলা, বিটিসিএল ও সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
গ্রাহকদের সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুস্তাফিজ ভূঁইয়া। এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে লোটাস জামিল, শেখ ফরিদসহ জাতীয় দৈনিক, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়া, ফটো সাংবাদিক এবং টেলিকমিউনিকেশনস বিভাগের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর মূল বিষয়বস্তু নিয়ে বক্তারা বলেন, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা খাতে সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। এছাড়া ১। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি সর্বনিম্ন ২০ এমবিপিএস করতে হবে। ২। কোয়ালিটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করতে হবে। ৩। ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের মূল্য কমিয়ে আনতে হবে। ৪। ডাটার কোন মেয়াদ থাকবে না। ৫। ইন্টারনেট যে কোন অজুহাতে বাজে কোনো কারণে সরকার বন্ধ করবে না এই ঘোষণা অথবা এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। ৬। অবৈধ আইএসপি ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে মোবাইল অপারেটরদের আইএসপি ব্যবসা থেকে বিরত রাখতে হবে। ৭। ওভারহেড ফাইবার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। ৮। ব্যান্ডউইথ ও এনটিটিএন এর দাম নির্ধারণ না করে বাজার প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দিতে হবে। ৯। ইন্টারনেট এর উপর কর কমিয়ে আনতে হবে। ১০। সহজ লভ্য হ্যান্ডসেট গ্রাহকদেরকে কিস্তির মাধ্যমে অপারেটরদেরকে বিক্রয়ের জন্য বাধ্য করতে হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর