
রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ইফতার শেষে শরীরকে পুনরায় শক্তি দিতে খাবারের প্রয়োজন হয়। তবে, ইফতারের পর রাতের খাবার খাওয়ার সময়টা নিয়েও অনেকের মধ্যে সংশয় থাকে। ঠিক কতক্ষণ পর রাতের খাবার খাওয়া উচিত? চলুন জেনে নিই এই বিষয়টি।
ইফতার করার পর রাতের খাবারের জন্য সঠিক সময় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ—
ইফতার করার পর শরীরকে ধীরে ধীরে শক্তি দেওয়া উচিত। ইফতারের পরে একেবারে ভারী খাবার খাওয়ার আগে কিছুটা সময় নিন যাতে পেট স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে শুরু করতে পারে। ইফতারে সাধারণত হালকা কিছু, যেমন: খেজুর, পানি, স্যুপ বা ফলমূল খাওয়া হয়। এতে শরীরের পানির ঘাটতি পূর্ণ হয় এবং শক্তি পুনরুদ্ধার হয়।
ইফতার শেষে অন্তত ১-১.৫ ঘণ্টা সময় দেওয়া উচিত, তারপর ভারী খাবার খাওয়া উচিত। এই সময়ের মধ্যে শরীরের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সক্রিয় হতে থাকে এবং পেটের চাপ কমে আসে। এতে করে রাতের খাবার খাওয়ার পর পেটের অস্বস্তি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
ইফতারে তরমুজ কেন খাবেন
যদি ইফতারের পর তাড়াতাড়ি ভারী খাবার খাওয়া হয়, তবে তা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার কারণে অস্বস্তি বা ম্যালডাইজেশন হতে পারে। তাই, ১.৫-২ ঘণ্টার মধ্যে রাতের খাবার খাওয়া আদর্শ। এতে শরীর যথাযথভাবে খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে এবং রাতের খাবারের সঠিকভাবে হজম হয়।
রাতের খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, এবং ভিটামিন-সামৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত, যা শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি পূর্ণ করবে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত তেল-মশলা ও চিনির খাবার পরিহার করা উচিত।
যদি ইফতারের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, তবে রাতে খুব হালকা খাবার খাওয়া ভালো। যেমন এক গ্লাস দুধ, একটি কলা, সেদ্ধ ডিম, স্যুপ বা কিছু সবজি খেতে পারেন। ভারী ইফতার করার পর কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর রাতের খাবার খাওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, ইফতার শেষে খাবারের সময়টা অনেকটাই ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপটে নির্ভর করে। তবে, নিয়মিত বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত পানি পান করে আপনি শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার করতে পারেন এবং পরে খাওয়ার সময়টি নির্ধারণ করতে পারেন।
সেহরির সময় অনেকে রাত ১টা বা ২টার সময় সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন, তবে এটা উচিত নয়। সেহরির সময় শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠে খাবার খাওয়া উচিত।
ইফতারের পর রাতের খাবার খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টা পর। এই সময়ে শরীর হালকা খাবার গ্রহণের মাধ্যমে প্রস্তুত হয়ে উঠবে ভারী খাবারের জন্য। এর ফলে হজমের সমস্যা কমে যাবে এবং সারা রাত ভালোভাবে ঘুমানো যাবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর