
বরগুনার বেতাগী ও বামনা উপজেলার মধ্যবর্তী বিষখালী নদীতে জেগে ওঠা রুহিতার চরের সীমানা নির্ধারণের জন্য মানববন্ধন করেছে বেতাগী উপজেলার সর্বস্তরের নাগরিকরা। বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সকাল ১০ টায় অবস্থান কর্মসূচি করে।
দীর্ঘ বছর ধরে রুহিতার চরের জমি বামনা ও বেতাগী দুই উপজেলার মধ্যে সমানভাবে বিভক্ত করে মানুষ ভোগদখল করে এসেছে। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর পুরো রুহিতার চর বামনা উপজেলার মানুষ দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। এসময় চরে বেতাগী উপজেলার মানুষের ফলানো ধান, ডাল সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল লুটপাট করে তুলে নিয়ে গেছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। বেতাগী ও বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা রুহিতার চরের সীমানা নির্ধারণে কয়েকবার চেষ্টা করলেও বামনা কথিত জমি দখলকারীদের বাঁধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। ফলে আর সমাধান না পেয়ে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে সীমানা নির্ধারণের দাবিতে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সর্বস্তরের জনগণ। পরে অবস্থান কর্মসূচির শুরু হতে না হতেই জেলা প্রশাসক তাদের দাবি মেনে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সময় নির্ধারণ করলে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় সাধারণ জনগণ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হোসাইন সিপাহি, আঃ রব সিকদার, খলিল কাজী, নূর ভানু, সজল মাহমুদ প্রমুখ।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, বেতাগীর বেশ কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙনের কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার ভূমিহীন অবস্থায় রয়েছে। মূলত রুহিতার চরের অংশটি বেতাগী মৌজার মধ্যে পড়েছে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিষয়টি না বুঝে জোর জবরদস্তি করে চরটি দখলে নিতে চায়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় আগামী ঈদের পরে দুই উপজেলার পাঁচজন করে প্রতিনিধি নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। সীমানা নির্ধারণ হলেই বিরোধ নিষ্পত্তি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জেলা প্রশাসক শফিউল আলম বলেন, আমরা দ্রুত রুহিতার চরের পাশাপাশি দুই উপজেলার সীমানা নির্ধারণ করব। ইতোমধ্যে দুই ইউএনওকে জানিয়েছি ১৩ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দুই উপজেলার ৫ জন করে প্রতিনিধিকে নিয়ে সমাধান করার। যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর