নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পান্নু মোল্লা (৩৮) ও তার ভাবি শারমিন বেগম (৩২)। সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে লোহাগড়া থানায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলার দায়ের পর অভিযুক্ত ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। 

অভিযুক্ত পান্নু মোল্যা উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের দিননাথপাড়া গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে ও তার ভাই বাবু মোল্যার স্ত্রী শারমিন বেগম। লোহাগড়া থানার মামলা নং ৮।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বিডি২৪লাইভকে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই শিশু পান্নু মোল্যার বাড়িতে বরই কুড়াতে গেলে তার বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে ডেকে নিয়ে ঘরের ভেতর ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। 

পরিবার মামলা করার উদ্যোগ নিলে স্থানীয় মাতব্বররা ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই শিশুর মাকে মামলা করতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে শিশুটির খালাতো ভাই বিষয়টি জানতে পেরে তিনি শিশুটি ও তার মাকে লোহাগড়া থানায় নিয়ে আসেন। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে সোমবার বিকালে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

ওই শিশুর পিতা মুঠোফোনে বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘আমার ছোট শিশু মেয়ে পান্নু মোলার বাড়িতে বরই কুড়াতে যায়। এসময় পান্নু মোল্যা আমার মেয়েকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে আমি জানতে পারি।

এরপর গ্রামের মাতুব্বররা মামলা না করে স্থানীয় ভাবে মীমাংসার কথা বলে আমাদের থামিয়ে রাখে। আজ সোমবার আমার স্ত্রী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করেছে। আমার মেয়ের সাথে যা করিছে আমি এর বিচার চাই।,

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মুনতাসির/সাএ