• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৪২ সেকেন্ড পূর্বে
মোঃ আনোয়ার হোসেন আকাশ
রাণীশংকৈল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০২৫, ০৩:১৮ দুপুর
bd24live style=

ফখরুলসহ সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের উগ্রতা, ভিডিও ভাইরাল

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি'র সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে উগ্র মন্তব্য করেন জেলা বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও জগনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান লিটন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে মেজাজ হারানো ওই চেয়ারম্যানের দাবি জনসার্থেই উচ্চবাচ্য কথা হয়েছে মাত্র। বিষয়টি তেমন কিছু না। 

গত সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের তৃতীয় তলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) কার্যালয়ের বারান্দায় এমন হট্টগোল করেন ওই বিএনপি নেতা।

এ ঘটনার ১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ভাইরালের পর নেটিজেনরা নানান মন্তব্য করতে থাকেন ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

খোদ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ নিজেই সেই ভাইরাল ভিডিওতে মন্তব্য করে সমালোচনা করেছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান হান্নুসহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এসময় জগনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান লিটন চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। উগ্র মেজাজে বলতে থাকেন আপনারা কথায়-কথায় অমুক সাহেব, তমুক সাহেব বাদ দেন, এখানে শরিফ সাহেব (জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ) ও হামিদ সাহেবের (সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ) কোন প্যানেলের লোক আছে এগুলো দেখার টাইম নাই।

আলমগীর সাহেবকে (বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) কে গিয়ে বলেন যে আপনার থেকেও বড় আলমগীর সাহেব...। রাস্তা করে দিবেন আপনি।

এসময় পাশে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। আব্দুল হান্নান হান্নু লিটনকে বলেন ওনারা (শরিফ-হামিদ) বড় নেতা পরিচয় দিলে অসুবিধা কি? এসময় লিটন আরো বলেন ওনারা কি ঠাকুরগাঁও শহরটা বেচে দিসে। পরে আব্দুল হান্নান হান্নু লিটনকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি বলতে থাকেন ফোন করলেই শুধু হামিদ ও শরিফকে দেখায় দেয়। এসময় তিনি আরো উগ্র মেজাজে চিৎকার করতে থাকেন তিনি।

ভিডিওটি প্রকাশ পেলে ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: আব্দুল হামিদ লিখেন, উঁচু গলা বলে দিচ্ছে চিটার, ধান্দাবা। এমন কোন জায়গা নেই মৃত ব্যক্তি থেকে ডিভোর্সের টাকা যে চিট করে তাঁর গলা উঁচু করে ধান্দা বাড়াতে চায়।

জীবন হক নামে আরেক ব্যক্তি লিখেন, আওয়ামীলীগের পক্ষে ভোট চাওয়া বিএনপি চেয়ারম্যান না উনি? সেলিনা আক্তার নামে এক নারী লিখেন, যিনি খুব চেঁচিয়ে কথা বলতেছেন উনি কে মহাসচিব স্যারকে, হামিদ ভাইকে নেতাদের কে এভাবে কথা বলতেছেন বুঝলাম না। উনি আবার কেন দাপটের সাথে কথা বলতেছেন সমস্যা কি।

সাজু লিখেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উনিই ঠাকুরগাঁওয়ে বেশি খবরের শিরোনাম হবে। কোন পরিবর্তন নাই ভাগাভাগি নিয়ে সবাই ব্যস্ত এদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে ঠাকুরগাঁয়ে কোন চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজ থাকতে পারবে না।

সাদ্দাম লিখেন, দেখা যাক ঠাকুরগাঁও বিএনপি এর বিরুদ্ধে কি অ্যাকশন নেয়। আর যদি না নিয়ে থাকে তবে ঠাকুরগাঁও জন্য অনেক লজ্জার বিষয়।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক উপজেলা পরিষদের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানায়, রাস্তার কাজ সঠিক সময়ে না হওয়াতে তিনি আওয়ামীলেগের সামাদ নামে এক ঠিকাদারকে গালিগালাজ করেন।

তবে বিএনপির এই নেতার এমন আচরণ ভালো ভাবে নেননি দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতা। সরকারি প্রতিষ্ঠানে এভাবে মারমুখী আচরণ করা মোটেও ঠিক করেনি। দুইপক্ষে বসে সমাধান করে নিতে পারতো। তা না করে তিনি চিৎকার চেঁচামেচিতে পুরো এলাকা এক করে ফেলেন।

তবে এ ব্যাপারে সামাদ ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করলেও তার ম্যানেজার মনির হোসেন জানান, বিএনপি নেতা আব্দুল হামিদের সুপারিশে তার মনোনীত লোকরে কাছ কাজ বিক্রি করে দেয় সামাদ সাহেব। তারই কাজ ফেলে রাখে। 

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার রাস্তার কাজ টেন্ডার হওয়ার সামান্য কাজ করে পর ৫ থেকে ৭ মাস ধরে ফেলে রাখে ঠিকাদার। ফোন করলে ফোন ধরেন না। এলাকার মানুষ ভালোভাবে চলাচল করতে পারছেন না। কাজ ফেলে রেখেছে। আমি উপজেলা পরিষদে গেলে ওই ঠিকাদারকে দেখতে পাই। তখন জনস্বার্থে এই কথাগুলো বলি। বিষয়টি তেমন কিছু না।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, লিটন হলো ধান্দাবাজ। অর্থের লোভে এসব করছে। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে তার এমন উগ্র ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। তবে ৫ আগস্টের পর যেহেতু আওয়ামী লীগের লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে কারণে আমি সুপারিশ করি কাজ যেন বন্ধ না থাকে। তা অন্য ঠিকাদারকে দিতে।  

অভিযোগ রয়েছে, গত বছরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি যখন ভোট বর্জনের আন্দোলন করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করছিল। ঠিক সেসময়ে মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা অরুণাংশু দত্তের পক্ষে ভোট চেয়ে দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজ করেছিলেন। সে সময় দলটির নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও আজ অবধি কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

২০২২ সালে ইউপি নির্বাচনে মোস্তাফিজুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আলাউদ্দিনকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com