
বরগুনায় গভীররাতে ঝোপ থেকে মন্টু চন্দ্র দাস (৩৫) নামে এক যুবকের কাদামাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি, মামলা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মন্টুর স্বজন ও পুলিশের ধারণা, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতের কোনো একসময় মন্টুর মৃত্যু হয়েছে। এদিন রাত ১টার দিকে স্বজনরা মন্টুর মরদেহ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
জানা গেছে, মন্টু চন্দ্র দাস বরগুনা পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি কড়ইতলা এলাকার মৃত জয়েশ্বর দাসের ছেলে। বরগুনা পৌর মুরগি বাজারের জনৈক জাকিরের দোকানের কর্মচারী ছিলেন তিনি।
নিহতের স্বজনরা জানান, নির্ধারিত সময়ে বাড়িতে না আসায় মন্টুর মোবাইল ফোনে কল দিলে বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে মোবাইলের আওয়াজ শুনতে পান তারা। পরে সেখানে গিয়ে মন্টুর মরদেহ দেখতে পান। এসময় মন্টুর পরনের কাপড় ছিল ভেজা, হাতে কামড়ের দাগ ও সারা শরীরে কাদা মাখা ছিল। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে
স্বজনরা আরও জানান, সপ্তাহখানেক আগে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করে মন্টু। সেই মামলার ১ নম্বর আসামি জেল হাজতে থাকায় ওই আসামির বন্ধু ও স্বজনরা তাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মন্টু নামের একজনের মরদেহের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে এটা হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা যাচ্ছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর