
ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশের ব্যক্তিগত রুমে এক হিন্দু নারীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে এএসআই শামীম মিয়াকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরের দিকে এক হিন্দু নারী ধামরাই থানার এএসআই শামীম মিয়ার ভাড়া বাসার রুমে ঢুকলে এএসআই রুমের ভিতর থেকে দরজা আটকিয়ে দেয়।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে দরজার বাহির থেকে ডাকাডাকি পারলেও দরজা খুলা হয় না। পরে সাংবাদিকরা গিয়ে ডাকাডাকি পারলে বেশ কিছুক্ষণ পর ভিতর থেকে দরজা খুললে দেখা যায় রুমের ভিতরে এএসআই শামীম ও ওই নারী দুজনেই। রুমের দরজা আটকিয়ে একান্ত সময় কাটানোর কথা শিকার করে ক্ষমাও চান ওই এএসআই। এমন একটি ভিডিও ছড়াছড়ি হয়েছে ধামরাইয়ে।
এএসআই শামীম মিয়া ধামরাই থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি থানার পিছনে প্রবাসী সোহেল এর বাড়ির নিচতলায় একাই ভাড়া থাকতেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ধামরাই থানার এএসআই শামীম মিয়ার ব্যক্তিগত ভাড়া রুমের দরজা বাহির থেকে একজন দরজা খুলতে বলেন। ভিতর থেকে এএসআই শামীম প্রশ্ন করেন কে? বেশ কিছুক্ষণ পর দরজা খুললে দেখা যায়, এএসআই শামীম মিয়া লুঙ্গি পড়া খালি গায়ে কাঁধে ভিজা গামছা এবং ওই হিন্দু নারী খাটের ওপর বসা।
এছাড়া রুমে আর কেউ নাই। রুমের দরজা আটকিয়ে দুজনে কি করছেন জানতে চাইলে ওই নারী বলেন আমি একটা অভিযোগ দিতে আসছি।
থানা বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত রুমে অভিযোগ দিতে আসার কারণ জানতে চাইলে এএসআই শামীম বলেন, আরে থানায় থেকে আমি নিয়ে আসছি কথা বলুম এর জন্য। আমি আবার বাড়িতে চলে যাবো তাই কথা বলার জন্য আসতে বলছি।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে এএসআই শামীম মিয়া তার ভুল শিকার করে ক্ষমা চাইতেও দেখা যায়। এছাড়াও এই ঘটনার নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন এএসআই।
জানা যায়, ওই হিন্দু নারী কুশুরা ইউনিয়নের বকচর এলাকার সোহেল নামে একজনের কাছে ৫ লাখ টাকা পায়। সেই টাকা ফেরত পেতে ধামরাই থানায় অভিযোগ দিতে আসেন তিনি। সেই অভিযোগের সূত্রেই এএসআই শামীম মিয়া'র সাথে সম্পর্ক তৈরি হয় এবং টাকা তুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই হিন্দু নারীকে ব্যক্তিগত রুমে ডেকে এনে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন এএসআই শামীম মিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধামরাই থানার সামনের এক দোকানদার বলেন, ওই পুলিশ এর আগেও ধামরাইতে ছিল। তখনও শুনতাম অনেক ধরনের কথা কিছু। ওর আসলেই চরিত্রে সমস্যা আছে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এএসআই শামীম মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি ভিডিও দেখে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। রাতেই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর