
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বৃরায়নগর গ্রামে ফসলি জমিতে চলছে অবৈধভাবে পুকুর খনন।
পুকুরের মাটি কেটে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে এই খনন কাজ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বৃরায়নগর গ্রামে বিলের মধ্যে ফসলি জমির মাঝখানে চলছে পাশাপাশি দুটি বিশাল পুকুর খনন। হান্ডিয়াল ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, রেজাউল, বাবলুসহ ১৫ জনের অংশদারিত্বে চলছে বিশাল পুকুর খনন। ভেকু মালিক আব্দুল করিম পুকুর খনন করছেন। দিনের বেলায় বন্ধ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সারারাতব্যাপী ভেকু মেশিন দিয়ে চলে খননকাজ। অন্যের জমি নষ্ট করেও এ পুকুর খনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার জমির পাশে চলছে পুকুর খনন। তাদের নিষেধ করছি আমার জমিতে যেসব মাটি না পড়ে। কিন্তু তারা আমার কোনো কথাই শুনছে না। ফসলের জমির মাঝখানে পুকুর খনন করার বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা দেখা দেবে।
এ বিষয়ে ভেকু মালিক আব্দুল করিম বলেন, সবার সাথে কথা বলেই কাজ করছি। জমির মালিকদের সাথে কথা বলেন। আর আপনে দেখা কইরেন।
পুকুর খনন কাজে ১৫ জন অংশীদারের একজন হান্ডিয়াল ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে যত্রতত্র পুকুর খননের সুযোগ নেই। আমরা যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখানে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে। হান্ডিয়ালের পুকুর খননের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর