
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে এক নববধূ ৪ মাসের অন্তঃসত্তার ঘটনায় বিয়ের ১০ দিনের মাথায় ওই নববধূকে তালাকের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত ২ মার্চ ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বিওপি বাজার বাকালি হাউজ সংলগ্ন এলাকার আসাদুল ইসলামের ১৪ বছরের মেয়ে রাশেদা আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের আদর্শ বাজার (শয়তানের বাজার) এলাকার নুর আমিনের নাবালক ছেলে লিমন ইসলাম (১৫) এর সাথে বিয়ে দেয়া দেয়া হয়।
বিয়ের দুই দিনের মাথায় লিমনের সন্দেহ হয় তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা। তারপর তাকে মেডিকেলে নিয়ে গিয়ে চেকআপ করানোর পর জানতে পারেন তার স্ত্রীর পেটে বাচ্চা রয়েছে। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বিষয়টি জানাজানি হলে লিমন ইসলাম তার স্ত্রী রাশেদাকে গত ১২ মার্চ তালাক দিয়ে তার বাবার বাড়ি ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে পাঠিয়ে দেয়। মেয়ের তালাক হওয়া এবং বাড়ি চলে আসায় বাবা-মায়ের টনক নড়ে। তারপর তারা আসল ঘটনা প্রকাশ করে। তাদের একই এলাকার মৃত. বাচ্চা মিয়ার ছেলে মজিবুল ইসলাম (৪৪) বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাশেদা আক্তারকে ধর্ষণ করে আসছে। এরপর মেয়ের মা লিলি বেগম বিষয়টি জানতে পারেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষক মজিবুল ইসলাম মেয়ের মাকে ৫০ শতাংশ জমির একটি দলিল লিখে দেন এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছে।
এক পর্যায়ে রাশেদা আক্তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পিতা আসাদুল ইসলাম ও মা লিলি বেগম মেয়েকে তড়িঘড়ি করে বিয়ে দেন। বিয়ের ১০দিনের মাথায় তালাক হয়ে যাওয়ায় ধামাচাপা দেওয়া ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ পায়। অবশেষে মেয়ের মা লিলি বেগম বাদী হয়ে ধর্ষক মজিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/১ ধারায় বৃহস্পতিবার ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক মজিবুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, মেয়ের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর