
ভোলার চরফ্যাশনে চোর চক্রের সদস্যদের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে চোর সরদার শাজাহান মিন্টিজকে দুই চোখ উপড়ে দেন তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
এ ঘটনায় গত ৮ মার্চ চোর সরদার মিন্টিজের মা নুরবানু বাদী হয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানি করতে ৭ গ্রামবাসীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার ওই হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের ভক্তির হাটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ওই ইউনিয়নের কয়েকশ নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
জানা যায়, গত ২ মার্চ চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের শাহাজাহান মিন্টিজ নামের এক চোর সরদারকে চুরির ভাগভটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে তার দুই চোখ উপড়ে দিয়ে পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে যায় তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পরে তার স্ত্রীসহ স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতাল নিয়ে এলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেপার করেন।
এঘটনায় মিন্টিজের মা নুরবানু প্রকৃত অভিযুক্তদের আড়াল করে গ্রামবাসীকে হয়রানি করতে ৭জন গ্রামবাসীকে আসামি করে দক্ষিণ আইচা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত ১১মার্চ শাহিরুল পাটোয়ারী নামের একজনকে ডিবি পুলিশ ভোলার তজুমদ্দিন থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেন। এঘটনায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষকে আসামি করে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করায় চোর পরিবারের হয়রানি থেকে রক্ষা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ওই ইউনিয়নের কয়েকশ নারী-পুরুষও শিশুরা।
এসমসয় গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন,নজরুল নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাওলানা অধ্যক্ষ লোকমান হোসেন, চরকলমী বিএনপির সভাপতি মো. রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বেপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুন ফরাজীসহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
এসময় বক্তারা বলেন, চোর চক্রের সরদার মিন্টিজের পূর্ব পুরুষ থেকে সবাই চুরি ডাকাতিতে জড়িত। তার বাবা ছিডু ও একজন পেশাদার চোর ছিল। মিন্টিজ ভোলা জেলার গোটা দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অসংখ্য চুরি,ডাকাতি ও খুনের অসংখ্য মামলা রয়েছে। সে বহুদিন গ্রাম ছাড়া ছিলেন। গত ২ মার্চ চর আর কলমী গ্রামে চুরির ভাগভাটোয়রা নিয়ে তার দলবলের দ্বন্দ্বে তার দুই চোখ উপড়ে দেন।
কিন্তু তার সাঙ্গপাঙ্গ ও চোর চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা না করে উলটো গ্রামবাসীকে হয়রানি করতে ওই গ্রামের ৭ জন নির্দোষ মানুষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। চোর পরিবারের দায়ের করা হয়রানি মূলক মামলা থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষের মুক্তির দাবি জানান তারা।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর