জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরএলাকায় মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক বজলুর রহমান রানাকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। 

শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে পৌরসভার আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় রওদাতুল আতফাল মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ইতি আক্তার বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৪/৩১ (১৬/০৩/২০২৫ইং)। বজলুর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাতপোয়া এলাকার রওদাতুল আতফাল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক বজলুর রহমান রানার বিরুদ্ধে একাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে তরল ঔষধ খাইয়ে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠে।

হেফজ বিভাগের ১৩ বছর বয়সের আবাসিক শিক্ষার্থী মাদ্রাসা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার তাকে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যেতে বললে সে উক্ত মাদ্রাসায় লেখাপড়া করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। 

এক পর্যায়ে পরিবারের নিকট শিক্ষক বজলুর রহমানের অপকর্মের কথা প্রকাশ করে। ১৪ বছর বয়সের অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীও ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে। অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে ওই শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে এসব প্রকাশ করলে তাকে শাস্তি দেওয়ার হুমকি দেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের উপর চড়াও হন। 

এসময় বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে মাদ্রাসায় শিক্ষককে অফিসে আটক করে রাখেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে সহকারী শিক্ষক বজলুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বগাড়পাড় চকপাড়া গ্রামের কামরুল হাসানের স্ত্রী মোছা. ইতি আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। 

বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক বজলুর রহমান রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রওদাতুল আতফাল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাতাদের একটি দল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মাদ্রাসা শিক্ষকের বলাৎকারের ঘটনায় সরিষাবাড়ী এখন উত্তাল। 

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. চাঁদ মিয়া জানান, উপজেলার সাতপোয়া এলাকায় রওদাতুল আতফাল একাডেমি মাদ্রাসার শিক্ষককে বলাৎকার করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুনতাসির/সাএ