
পাংশা উপজেলা ছাত্র দল নামাক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মুরাদ বিশ্বাসের ছবি দিয়ে লেখা হয় ”আওয়ামী লীগ সরকারে আমলের পুলিশ দিয়ে পাংশা উপজেলা বিএনপি নেতা মুরাদ বিশ্বাস কে গ্রেফতার করা যাবে না। মুরাদ ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, আপনাদের সাবধান করে দিচ্ছি লাগতে আসবেন না কিন্তু আর ছাড় দেবো না সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান, নিজেরা পারেন না পুলিশ লীগ দিয়ে বিএনপি নেতাকে হয়রানি করেন, মুরাদ ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে!
রাজবাড়ীর পাংশা থানা পুলিশের কাছ থেকে পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম মুরাদ বিশ্বাস ছিনিয়ে নিয়েছেন তার কর্মীরা। ঘটনাটি মঙ্গলবার পাংশা থানা এলাকার পাট্টা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে ঘটেছে। মুরাদ বিশ্বাস সম্প্রতি ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পাংশা মডেল থানার একটি মামলার এজহার নামীয় ১ নং আসামি ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান পুলিশ মুরাদ বিশ্বাসকে ধরলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয় পরে লোকজন এসে মুরাদ বিশ্বাসকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এ ঘটনায় ওই এলাকার মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা যাচ্ছে। পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন করছে একটি পক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান নামের একজন জানান এ ঘটনাটি আমাদের চোখের সামনে পুলিশের অসহায়ত্ব দেখে আমরা নিজেরাই হতভম্ব, শতাধিক লোকজন জড়ো হয়েছিল সকলেই দেখেছে কি ঘটেছিল, ৪/৫ জন পুলিশ ছিল পুলিশের বাড়িতে ইট পাটকেল মারতেও আমরা দেখেছি সেই সাথে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বেশ কয়েকজনের কাছে লাঠিসোঁটা ছিল।
অভিযানে থাকা পাংশা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার শফিউদ্দিন বলেন কি বলব ভাই বলার কিছু নেই আসছি চাকুরি করতে তাই করছি, আমরা তাকে নিয়ে কথা বলছিলাম তখন কিছু লোকজন এসে অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি সেখান থেকে চলে গিয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর