
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক স মকাল পত্রিকা এবং এ নটিভি অনলাইনের কুষ্টিয়া কুমারখালী প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান নয়নের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়ার প্রেসক্লাবের সামনে এন এস রোড সড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে কুষ্টিয়া সাংবাদিক অধিকার পরিষদ।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি লিটনউজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আল মামুন সাগর,কুমারখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক এম এ উল্লাস, আ জকের পত্রিকা জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ দত্ত, এ নটিভির জেলা প্রতিনিধি শ্যামলী ইয়াসমিন, এ নটিভি অনলাইন প্রতিনিধি বিদ্যুৎ খন্দকার, খবরওয়ালা পত্রিকার সম্পাদক মুন্সী আহমেদ জুয়েল, দে শ টিভি জেলা প্রতিনিধি নাহিদ হাসান তিতাস, নি উজ ২৪ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন লালন, সাংবাদিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব শরীফ, এ শিয়ান টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রিজু, স ময়েক কাগজ পত্রিকার সহ সম্পাদক খন্দকার টানু,বার্তা সম্পাদক অঞ্জন শুভ,সারা বাংলা কুষ্টিয়া প্রতিনিধি রাব্বি, খবর সংযোগ জেলা প্রতিনিধি মিশুক এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সোহেল পারভেজ প্রমুখ।
তারা বলেন, মিজানুর রহমান নয়ন একজন সৎ, পরিশ্রমী ও কর্মঠ সাংবাদিক। সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০১৮ সালের ঘটনায় ২০২৫ সালের ৯ মার্চ মামলা করা হয়েছে। মামলায় হয়রানিমূলকভাবে নয়নকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলাটি পিবিআই পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অতিবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে সাংবাদিক নয়নকে প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
তারা আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশেও প্রতিদিনই সাংবাদিকরা হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। দ্রুত সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা করতে কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী মোল্লার বাড়িতে গিয়েছিলেন কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, পান্টি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম ( মিলন)। সেসময় দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনার প্রায় ৭ বছর পরে রেজাউল বাদী হয়ে চলতি বছরের ৯ মার্চ কুষ্টিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ২০ -২৫ জনকে।
নালিশি অভিযোগটির সত্য - মিথ্যা যাচাই করে চলতি বছরের মে মাসের ১৮ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কুষ্টিয়া পিবিআই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন - পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন, যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানসহ ১২ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
মামলায় আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিক মিজানুর রহমান নয়ন বলেন, ১ মার্চ মামলার বাদী শেখ রেজাউল করিম মিলনের ভাই শেখ রাসেলের পুলিশ বিরোধী বিতর্কিত একটি ভিডিও বক্তব্য সমকাল, এ ন টিভি অনলাইনসহ সকল গণমাধ্যম ও ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
এছাড়াও অতীতে মিলনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০১৮ সালের একটি ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের ৯ মার্চ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে।
সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি প্রদান করা হোক। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী রেজাউল করিম মিলন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর