
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা পৌরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিটি প্রকল্পে অনিয়ম করছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান উপজেলায় দীর্ঘ ১০ বছর কর্মরত রয়েছে। এ সুবাদে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
অনিয়মের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পরে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় ড্রেন ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। গত বুধবার দুপুরে গাংনী পৌর শহরে এঘটনা ঘটেছে।
গাংনী পৌরসভা থেকে জানা যায়, পৌর জল সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প (বিএমডব্লিউএসএসপি) বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কাজ করছেন, ডাউন-আরাধনা জেভি, দোরিক রহিমা তাজ টাওয়ার, ভাটারা, নতুন বাজার, বারিধারা ঢাকা- ১২১২।
ড্রেন নির্মাণে ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৫ শত ১৯ টাকা ব্যয়ে গাংনী পৌর শহরের ৪ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে।
প্রকল্প পরিচালক মীর আব্দুস শাহিদের নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান ঠিকাদারের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কাজের সাইডে দেখাশোনা বন্ধ করে দিয়েছেন, পক্ষ নিয়েছেন ঠিকাদারের।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিডিউল অনুযায়ী উন্নত মানের সামগ্রী না দিয়ে নিম্নমানের বড় বড় পাথর ও বালি দিয়ে কাজ করছেন। স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
পৌর বাসীরা অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাজের কোন তদারকি না করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করে মুখ বন্ধ করে রেখেছেন মাহফুজুর রহমান।
তিনি স্বৈরাচার হাসিনার আমল থেকে দীর্ঘ ১০ বছর গাংনী উপজেলায় কর্মরত থেকে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অফিস পরিচালনা করে আসছেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে মিলে প্রতিটি কাজে অনিয়ম করে আসছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সাজিব হোসেন জানান, পৌরসভার কাজে দায়িত্বে থাকা উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানের সাথে কথা বলেন, ড্রেন নির্মাণে কিছু বালি নিম্নমানের ছিল, সেগুলো সরিয়ে নিয়েছি। তার সাথে কথা বলে মালামাল ব্যবহার করছি। কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।
গাংনী পৌরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রাজু আহমেদ জানান, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। সে কারণে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, ড্রেন নির্মাণে কিছু নিম্নমানের বালি ব্যবহার করায় ঠিকাদারকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গাংনী পৌরসভার প্রশাসক প্রীতম সাহা জানান, ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি শুনে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও পৌরসভার প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেই সাথে নিম্নমানের সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর