
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং নতুন মার্কিন সরকারের কর্মদক্ষতাবিষয়ক অনানুষ্ঠানিক প্রধান এলন মাস্কের মালিকানাধীন এক্স (পূর্বে টুইটার) এর পক্ষ থেকে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের হাইকোর্টে এ মামলা করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ এবং ইচ্ছেমতো ‘সেন্সরশিপ’ চালানোর অভিযোগ তুলে এ মামলা করা হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের
বৃহস্পতিবার এক্সের পক্ষে থেকে করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভারত তার আইসিটি আইনের অপব্যাখ্যা করেছে। বিশেষ করে, আইনের ৭৯(৩)(বি) ধারা যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে লঙ্ঘন করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশকেও তা ব্যাহত করছে বলে অভিযোগ এক্সের।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সরকার ওই ধারা ব্যবহার করে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এটি একটি সমান্তরাল আইনি ব্যবস্থা, যা আইন–বহির্ভূতভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করছে ইলন মাস্কের সংস্থা। কারণ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯–এ ধারাতে যে কাঠামোগত আইনি সুবিধা অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারীদের দেওয়া হয়েছে, তা ভঙ্গ করা হচ্ছে।
তবে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, ৭৯(৩)(বি) ধারা মোতাবেক আদালতে নির্দেশ বা সরকারের নোটিশের ভিত্তিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে আইনবহির্ভূত বিষয়বস্তু সরাতে হবে।
কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যদি ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু সরিয়ে না নেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতেও ওই প্ল্যাটফর্ম বা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে মনে করছে ভারত সরকার।
ঠিক এখানেই ইলন মাস্কের সংস্থার সঙ্গে ভারত সরকারের মতবিরোধ দেখা দিচ্ছে। এক্স মনে করছে, কোনো বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ করতে বা তা সরিয়ে দিতে গেলে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন। সরকারের নির্দেশের ভিত্তিতে এই কাজ করা যাবে, এমনটা ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়নি।
অবশ্য ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মনে করছে, সরকারের সেই ক্ষমতা রয়েছে। এক্স মনে করছে, একমাত্র আদালতেরই সেই ক্ষমতা রয়েছে। এখানেই বিরোধ।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর