
ময়মনসিংহের ভালুকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে তোফাজ্জল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ সাত মাস পরে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে এবং ওবায়দুল কাদেরসহ ২৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহত তোফাজ্জল হোসেন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতি গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। সে জৈনাবাজার এলাকার নগর হাওলা গ্রামের কাশেমের বাসা বাড়িতে থেকে কাজ করতেন।
জানা যায়, গত ৪ আগস্ট ২০২৫ইং উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার মিছিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রাজমিস্ত্রী তোফাজ্জল হোসেনকে হত্যা করে। এ ঘটনার শুক্রবার (২১ মার্চ) মো. শরিফ মিয়া বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ময়মনসিংহ-১১ ভালুকার সাবেক দুই সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ ও কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু সহ উল্লিখিত ২৪৫ জন ও অজ্ঞাত ১৫০জন সহ মোট ৩৯৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে মামলা নং ৩৬ তাং ২১/০৩/২০২৫ইং।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ওই দিন মাস্টারবাড়ী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশ-পাশের রাস্তায় ছাত্র-জনতা, শ্রমিকসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলটি বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করিয়া মাস্টারবাড়ী শুঁটকি ও কাঁচামাল মহলের সামনে পৌঁছা মাত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতার মিছিলে দেশীয় ও বিদেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এতে ছাত্রজনতার মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় তোফাজ্জল হোসেনকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে আহত তোফাজ্জল হোসেনকে উদ্ধার করে শ্রীপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শামছুল হুদা খান জানান, ৪ আগস্ট মাস্টারবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার মিছিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় রাজ মিস্ত্রী তোফাজ্জল হোসেন নিহতের ঘটনায় মো. শরিফ মিয়া বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ২৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জন অজ্ঞাতসহ মোট ৩৯৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর