জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থা ছিল আইয়ামে জাহেলিয়া। সে সময় যে রকম বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছিল, গুম খুন, হত্যা নিপীড়ন নির্যাতন ছিল ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগের সময়েও সব অপকর্ম বিদ্যমান ছিল।

সোমবার সন্ধ্যায় কসবা মহিলা কলেজ মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কসবা উপজেলা শাখা আয়োজিত জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা ও সকল শ্রেণিপেশার গণমানুষের প্রতিনিধিদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত বলেন, আমি গতকাল বলেছিলাম ১০টা ফেরাউন যদি একত্র করা হয় তাহলেও শেখ হাসিনার মতো এত দুর্ধর্ষ, এত জুলুমকারী আর হতে পারে না। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমাদের নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নেই। ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাত্র নাগরিককের সাথে আওয়ামী বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। একই সাথে আমরা এই বিষয়টি বলবো, আপনার জনগণের বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নিয়েন না।

সনাত বলেন, গত দেড় দশকে ডামি নির্বাচন হয়েছে, দিনের ভোট রাতে করা হয়েছে। কবর থেকে এসে ভোট দিয়ে গেছে। সে সময় আমরা কোন জেনারেলকে পদত্যাগ করতে দেখি নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, আমরা কোন সচিবকে পদত্যাগ করতে দেখি নাই। আমরা কোন ডিসিকে জনতার কাতারে নেমে আসতে দেখি নাই।

আমরা আপনাদের সামনে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, পরবর্তী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট করে দিয়েছে, আপনাদের সহযোগিতায় সেগুলো জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব।

সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ আমাদের আপনাদের। আওয়ামী লীগ এগুলো ধ্বংস করেছে। আমরা সংস্কার করে জনমানুষের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। তারা যে গণহত্যা চালিয়েছে, গণহত্যার বিচার কতটুকু এগুলো তা পোস্ট করার সময় এসেছে। আপনারা সংস্কার সংস্কার করছেন, কত দিনের মধ্যে আপনারা দৃশ্যমান সংস্কার করবেন, এ ব্যাপারে রোড ম্যাপ স্পষ্ট করতে হবে। বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিচার যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত না হয় তাহলে ধরে নেব এখনো পর্যন্ত যে আওয়ামী লীগের দোসররা একটিভ রয়েছে।

তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার কাছে আহ্বান করব, আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাতিল করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই দলটাকে নাৎসি পার্টির মতো চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক দক্ষিণাঞ্চল ডা. আশরাফুল ইসলাম সুমন ও জিহান মাহমুদ প্রমুখ।

বাঁধন/সিইচা/সাএ