
স্মার্টফোন যেমন স্বস্তির কারণ আবার কখনো বিপদের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি সময়ে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এ সকল ঘটনায় একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী যেমন সাধের মোবাইলটি হারিয়েছেন, আবার আর্থিকভাবেও ক্ষতির শিকার হয়েছেন। শুধু তাই নয়, স্মার্টফোন বিস্ফোরণে আহত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এবার তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাইকপাড়ায়। সোমবার (২৪ মার্চ) শাওমি ব্র্যান্ডের ‘রেডমি নোট ১০’ মডেলের একটি স্মার্টফোন বিস্ফোরণ হয়েছে।
জানা গেছে, ওই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর নাম হিমেল (৩২)। তিনি শাওমি ব্র্যান্ডের ‘রেডমি নোট ১০’ স্মার্টফোনটি ক্রয় করেছিলেন।
বিডি২৪লাইভকে ওই যুবক জানান, আমার বালিশের পাশেই স্মার্টফোনটি রাখা ছিল। বেশিক্ষণ ব্যবহার করিনি, গরমও হয়নি! তবুও হঠাৎ বিস্ফোরিত হলো।
হিমেল বলেন, আমার দুটি ফোন, এর মধ্যে ‘রেডমি নোট ১০’ বালিশের পাশে রেখে অন্য ফোন ব্যবহার করছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই। পাশে তাকিয়ে দেখি আমার রেডমির স্মার্টফোনটি বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
এই যুবক বলেন, ফোনটি বিস্ফোরণ হয়ে চাদরের আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় অল্প জন্য রক্ষা পেয়েছি। তবে এখনও আতঙ্ক কাটেনি।
টেক বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক আহসানুল করীম বলেন, স্মার্টফোন বিস্ফোরণের ঘটনা মূলত ফোনের ওপর অতিরিক্ত চাপের কারণে বা ব্যাটারি গরম হওয়ার কারণে ঘটে। আসলে আকারে পাতলা ও হালকা স্মার্টফোন তৈরি করতে কোম্পানিগুলো ব্যাটারিকে ন্যূনতম স্পেসে ফিট করে এবং ক্রমাগত ব্যবহার বা চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যাটারি গরম হতে শুরু করে। এরপর বিস্ফোরিত হয়।
এ বিষয়ে শাওমি কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেক্ষ্য, শাওমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বিস্ফোরণের নজির এটাই প্রথম নয়। গত বছর ভারতে ‘শাওমির রেডমি নোট ৫ প্রো’ মডেলের একটি স্মার্টফোন বিস্ফোরিত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। আদিত্যশ্রী নামের ওই শিশুর বয়স মাত্র আট বছর।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর