
ভোলার লালমোহন উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি মো. খোকন হাওলাদারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
গত রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে লালমোহন উপজেলা শহর সংলগ্ন মডেল মসজিদ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত খোকন হাওলাদার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর ছনিকা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন- বাবুল পঞ্চায়েত, কামরুল, নাফিজ, মিজান, শাহীন, রাসেল, তারেকহ অন্তত ১০ জন। তারা সবাই কালমা ইউনিয়ন বিএনপি ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানিয়েছেন হামলার শিকার এনসিপি প্রতিনিধি।
ভুক্তভোগী খোকন হাওলাদার বলেন, আমি আগে বিএনপির রাজনীতি করেছি। কালমা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বিএনপি আ.লীগের লোকজন সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করে দেখে সেখান থেকে পদত্যাগ করে এনসিপিতে যোগ দিয়েছি। পরে এনসিপির পক্ষে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। গত রোববার বিকেলে বাজার করে বাড়িতে যাওয়ার পথে পথরোধ করে আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে বিএনপি নেতা বাবুল পঞ্চায়েত, কামরুল, নাফিজ, মিজান, শাহীন, রাসেল, তারেকহ অন্তত ১০ জন মিলে ‘আর এনসিপি দল করবি’ বলেই বেধড়ক পিটিয়েছে। তারা আমার হাত ভেঙে দিয়েছে,পাসহ পুরো শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেন। সেখানে বিএনপির লোকজন চিকিৎসা নিতে বাধা দিলে পুলিশের সহযোগিতায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য আমাকে ভোলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির ভোলা প্রতিনিধি রশিদ আহমেদ বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা লালমোহনের এনসিপি প্রতিনিধি খোকন হাওলাদারের ওপর ওপর হামলা চালিয়েছেন। তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এনসিপি প্রতিনিধির ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, এ হামলার ঘটনার সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দোষ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে লালমোহন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম, খোকন হাওলাদারের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশের সহযোগিতায় তিনি লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর