
ফরিদপুরের নগরকান্দায় কুমার নদের তীরে অবৈধভাবে দখল করে বসানো হয়েছে সারি সারি অনিরাপদ সেপ্টিক ট্যাংক। যেখানে মল-মুত্রসহ ময়লাযুক্ত পানি ফেলে নদের তীরবর্তী বসতিগণ তাদের অজান্তেই ক্ষতি করছেন নদীর পরিবেশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরকান্দা পৌরসভার জুঁঙ্গুরদী ও চৌমুখা এলাকায় নদীর তীরে স্থাপন করা হয়েছে সরাসরি শতাধিক অনিরাপদ সেপ্টিক ট্যাংক। বর্ষার সময় নদীর পানি ওপরে উঠলে তলিয়ে যায় এই সেপ্টিক ট্যাংকগুলোর অধিকাংশ, পানিতে মিশে যায় মল-মূত্র।
স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরের বাসিন্দারা অবৈধভাবে এই সেপ্টিক ট্যাংকগুলো স্থাপন করে নদী ও নদীর পরিবেশ নষ্ট করছেন। এগুলো ভরে গেলে পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় না। কোথাও ছিদ্র করে দিলে তা নদীর পানিতে মিশে যায়। আবার কিছু সেপ্টিক ট্যাংকে দেখা গেছে অনবরত মল-মুত্র বেয়ে নদীর পানিতে গড়িয়ে পড়ছে। আবার ওই নদীর পানি দিয়ে গোসল করছে, কেউ কেউ রান্নার জন্য ও ব্যবহার করছেন। নদীর পরিবেশ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর পাড়ের সড়কটি। অধিকাংশরাই রাস্তা কেটে সেপ্টিক ট্যাংকের পাইপ নদীতে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ রাস্তা কেটে মটর দিয়ে নদী থেকে পানির লাইন নিয়েছেন। কিছু সংখ্যক মানুষ রাস্তা না কেটে বোরিং করে ও লাইন নিয়েছেন। ফলে রাস্তার কাটা স্থান ও বোরিং করা স্থান থেকেই সড়কের ভাঙন ধরেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি টাকার সড়কটিও।
এ বিষয়ে সেপ্টিক ট্যাংক স্থাপনকারী সুজাত মাতুব্বর বলেন, এখানে প্রায় ৩০/ ৪০ টি পরিবার একাজ করেছেন। নদীর মধ্যে হলেও জায়গা নিজেদের লিজ নেওয়া। তবে এমনভাবে করা হয়েছে তাতে নদী ও নদীর পানির কোন ক্ষতি হবে না। পাইলিং করে, খোয়া-বালু,সিমেন্ট দিয়ে করা হয়েছে। জুঙ্গুরদিয়া এলাকা ছাড়াও নদীর আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় এরকমভাবে অনেকেই করেছেন।
এ বিষয়ে নগরকান্দা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম বিল্লাহ্ বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বিডি২৪লাইভকে বলেন, এতে পানি দূষণ ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং এটা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানাবো যেন তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর