
গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী এলাকায় রাথুরা বিটের আওতাধীন একাধিক অবৈধ করাতকল গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে আমিন সরকারের "স" মিল নামের একটি করাতকলে প্রতিনিয়ত গজারি গাছ চেরাই করা হচ্ছে। বন আইনের তোয়াক্কা না করেই এসব করাতকল পরিচালিত হচ্ছে, যা পুরো এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন সবকিছু জানার পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিরুজালী আঞ্চলিক সড়কের পাশেই অবৈধ করাতকলের আধিপত্য। সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই এসব স্থানে গাছ চেরাই চলছে। এতে শুধু বনভূমিই হুমকির মুখে পড়ছে না, বরং জীববৈচিত্র্যও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অনিয়ম চললেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রাতের আধারে গজারি বনের গাছ কেটে এনে প্রতিনিয়ত গজারি গাছ চেরাই করা হচ্ছে। এভাবে বনের গাছ কাটা হলে এক সময় বনের অস্তিত্ব সংকট পরবে।
এ ব্যাপারে করাত কলের মালিক আমিন সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাথুরা বিটের বিট কর্মকর্তা শেখ ইমদাদ বলেন, "আমরা আমাদের লোক পাঠিয়ে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করছি। যদি অবৈধভাবে গজারি গাছ চেরাই করা হয়ে থাকে, তবে তা উদ্ধারের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
শ্রীপুর রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, "এসব অবৈধ করাতকল উচ্ছেদে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন পাঠানো হবে। পাশাপাশি যারা অবৈধভাবে গজারি গাছ সংগ্রহ ও চেরাই করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
স্থানীয় পরিবেশবিদদের মতে, গাজীপুরের গজারি বন ইতোমধ্যে অবৈধ দখলদারদের কারণে সংকুচিত হচ্ছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এভাবে বন উজাড় চলতে থাকলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, দ্রুত অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ করাতকল বন্ধ করতে হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর