
স্কোরলাইনের এমন এক অবস্থা হয়ত কেউই প্রত্যাশা করেননি। ২০১২ সালের পর এবারই প্রথম আর্জেন্টিনার কাছে চার গোল হজম করেছে ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার ঘরের মাঠ এস্তাদিও মনুমেন্তালে ব্রাজিল রীতিমত বিধ্বস্তই হয়েছে সেলেসাওরা। ম্যাচে কোনো পর্যায়েই ব্রাজিলকে দেখা যায়নি আধিপত্য দেখাতে। বিশ্বকাপ নিশ্চিতের দিনটা বড় জয় দিয়েই রাঙিয়ে রেখেছে লিওনেল স্কালোনি শিষ্যরা।
যদিও ম্যাচের আগে কথার লড়াইয়ে ব্রাজিলকেই এগিয়ে রেখেছিলেন রাফিনিয়া। ব্রাজিলেরই আরেক কিংবদন্তি রোমারিও’র পডকাস্টে এসে অনেকটা হুমকি দিয়েই বলেছিলেন আর্জেন্টিনাকে হারানোর কথা। একইসঙ্গে এও বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোল করবেন রাফিনিয়া। তবে ব্রাজিলিয়ান এই তারকা গোল পাননি, ব্রাজিলও জেতেনি। আর্জেন্টিনাই ম্যাচ জয় করেছে ৪-১ গোলে।
ম্যাচ শেষে রাফিনিয়াকে বলতে গেলে কড়া সুরেই জবাব দিয়েছেন আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদের। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জিতে আসা এই মিডফিল্ডারের ভাষা, ‘খেলার আগেই আপনার কথা বলার প্রয়োজন নেই। আপনি যখন মাঠে নিজেকে প্রমাণ করতে পারছেন না, তখন এসব কথা বলার কোন মানে নেই। আমরা প্রতিদিন আমাদের প্রতিটি ট্রেনিং সেশন এবং ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করি।’
এই মিডফিল্ডার পরে আরও যোগ করেন, ‘মাঠের ভেতর এবং বাহিরে অনেক ধরনের কথাই হয়। তবে আমরা পারফরম্যান্স এ প্রমাণ দেই। আমরা ট্রেনিং সেশন নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রস্তুতি নেই। আমরা এমন পারফরম্যন্স আরো দিতে চাই।’
ম্যাচের প্রথম গোল এসেছিল হুলিয়ান আলভারেজের পা থেকে। রাফিনিয়ার মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের এই স্ট্রাইকার বলেন, ‘এভাবে কথা বললে এমন একটি ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ে। আমরা নম্র থেকে ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একটি দুর্দান্ত খেলা খেলেছি এবং তাদের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছি।’
‘এটা ঐতিহাসিক জয়, বিশেষ করে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করলে এবং তারা যা বলেছে সেটা আমলে নিলে এটা অন্যতম সেরা একটা ম্যাচ। আমরা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছি, এখন আমাদের সেদিকে কাজ করতে হবে।’
রাফিনিয়ার মন্তব্য সহজভাবে নেননি রদ্রিগো ডি পল নিজেও। টিওয়াইসি স্পোর্টসের ক্যামেরার সামনে ডি পল বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমাদের হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কয়েক বছর ধরে বিশ্বের সেরা জাতীয় দল এবং আমরা তা নিয়মিত প্রমাণ করছি। তাদের উচিত আমাদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখানো।’
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর