
প্রতিদিন সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। প্রাণীকুলের নেই স্বস্তি। প্রকৃতির বাতাসে গরম হাওয়া। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। খরা আর তীব্র গরমে নষ্ট হচ্ছে ফসল।
গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে রহমতের বৃষ্টির আশায় মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট বৃষ্টি চেয়ে কিশোরগঞ্জে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের চিকনীরচর মধ্যে পাড়া ভুরভুরিয়া বিলের উত্তর পাশে পতিত জমিতে অর্ধশতাধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে এ ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নামাজে ইমামতি করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা হেলাল উদ্দিন দেওবন্দীর। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করেন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নামাজে অংশ গ্রহণকারী মুসল্লিরা জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বিপদের সময় আল্লাহ নামাজের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। বৃষ্টির জন্য এই নামাজ আদায় করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি।
নামাজে উপস্থিত ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা ক্বারি আব্দুল খালেক, চিকনীরচর মধ্যে জামে মসজিদের সেক্রেটারি আনোয়ার হোসাইন, সাবেক ইউপি সেলিম মিয়াসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
উল্লেখ, বৃষ্টি প্রার্থনায় সম্মিলিতভাবে আজান, ইকামত ছাড়াই জামাতের সাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও দুই হাত উল্টে দোয়া করা হয়। এটাকে বলা হয় ‘সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ' ইমাম সাহেব কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। মুসল্লিরাও তখন কায়মনোবাক্যে দোয়া-প্রার্থনা করেন।
বস্তুত পাপ মোচনের জন্য আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ অন্তরে তওবা-ইস্তেগফার করতে হয়। তবেই আল্লাহ তাআলা মানুষের মনোকামনা পূরণ করেন এবং বৃষ্টি দিয়ে নিসর্গ সিক্ত করেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর